কাছের মানুষের নিরন্তর উৎসাহদানেই অসাধ্যসাধন করেছেন নীল। ছবি:ইনস্টাগ্রাম
বহু দিন তাঁকে বড় পর্দায় দেখেননি দর্শক। ২০১৯ সালে ওটিটিতে দু’টি ছবির পর বছরশেষে আবার নতুন হয়ে ফিরলেন নীল নিতিন মুকেশ। এত দিন যেন হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। চর্বিবহুল চেহারায় কোথায় যে লুকিয়ে বসেছিলেন তার ঠিক নেই। শনিবার নিজের বিপুল পরিবর্তনের ছবি দিলেন অভিনেতা। জানালেন, পরিবার এবং বন্ধুরাই তাঁকে আবার সমে ফিরিয়েছেন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নীল।
দু’টি ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। যার একটিতে মেদবহুল চেহারা। অন্যটিতে পেশির খাঁজে ঢেউ খেলে যাওয়া শরীর। প্যাক বানিয়ে ফেলেছেন। কে বলবে দু’জন মানুষ একই! সেই ছবি দিয়ে সাড়া ফেলে দিলেন অভিনেতা। বোঝালেন কিছুই অসম্ভব নয়, যে কোনও সময় ফিরে আসা যায়। অভিনেতা লিখেছেন, “আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এক জন অভিনেতা হয়ে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করতে হয়। নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, যা অনেক সময় কল্পনার বাইরে থাকে। আমিও একটি চরিত্রের জন্যই ওজন বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু কী ভাবে কমাব, বুঝতে পারছিলাম না। তার পর বুঝলাম, চ্যালেঞ্জ নিতেই হয়।”
দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়েছিলেন নীল। বাবা নিতিন মুকেশ বিখ্যাত গায়ক হলেও তাঁর রোজগার ছিল যৎসামান্য। সবজিবিক্রেতার কাছ থেকে টাকা ধার করে ছেলেমেয়ের পড়ার খরচ চালাতেন তিনি। তবু অভাব তাঁর মাথা নত করে দিতে পারেনি। সারা জীবন সম্মান নিয়ে বেঁচেছেন। নীলও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান।
জানালেন, কাছের মানুষের নিরন্তর উৎসাহদানেই অসাধ্যসাধন করেছেন নীল। ২০২২ সাল স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বোঝার জন্য জরুরি ছিল। সেই সঙ্গে সম্পর্কগুলিকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন বলে জানান অভিনেতা।
এ বার নতুন বছরের জন্য তৈরি তিনি। স্বাগত জানালেন ২০২৩ সালকে। আসছে কি বড় কোনও কাজ? যে কারণে ভোল পাল্টে ফেললেন অভিনেতা? তা নিয়েই চর্চায় নেটদুনিয়া।