ঋষি-নীতুর দাম্পত্য ভরা মজাদার কিস্সায়।
৪০ বছরের দাম্পত্যের গল্প কি কম! ঋষি কপূরকে হারিয়ে সে সব দিন এখন ফিরে দেখেন নীতু কপূর। তাঁর স্বামী বলিউডের ‘লাভার বয়’ বলে কথা! এতগুলো বছরে কত কী যে ঘটিয়েছেন, কত মেয়ের প্রেমে পড়েছেন ইয়ত্তা নেই! এক টেলিভিশন শো-তে এসে তা নিয়েই এক মজাদার গল্প ফাঁস করেছিলেন নীতু। স্বয়ং ঋষি তখন সামনেই বসা!
মদ্যপানে ঋষির আসক্তির কথা কে না জানে! মুম্বই সংবাদমাধ্যমের খবর, রাত বাড়লে মদে চুর হয়ে থাকা নাকি বরাবরই স্বভাব ছিল অভিনেতার। এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তিও কম হয়নি। রেগেমেগে এক বার নাকি বাড়িও ছেড়েছিলেন নীতু! তবু ঋষির মদ্যপান নিয়ে মজাদার কিস্সাও কম নেই তাঁর ঘরনির ঝাঁপিতে। যে ঝাঁপি উপুড় হয়েছিল এক বার, কপিল শর্মার শো-তে। কপিলের সঙ্গে আলাপচারিতায় সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন ঋষি। সেখানেই অভিনেত্রী ফাঁস করেন এক অজানা কাহিনি।
ঋষি তখন আক্ষরিক অর্থেই টিনসেলনগরীর ‘লাভার বয়’। এর সঙ্গে একটু-আধটু প্রেম, ওর সঙ্গে চোখে চোখে কথা, তার সঙ্গে আলতো ছোঁয়াছুঁয়ি, সে সব চলছে দিব্যি। স্ত্রী নীতুর পক্ষে সেই সব ‘সম্পর্ক’-এর ঠিক ঠিক খবর রাখা সম্ভব ছিল না। তবু খবর কিন্তু পৌঁছেই যেত তাঁর কাছে!
কী করে?
কপিলের কাছেই নীতু ফাঁস করেন, নেশার ঘোরে এসে তাঁকেই সব গল্প করে ফেলতেন ঋষি! অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘ঋষি তখন মদে চুর। ও ভাবত, আমি নই, উল্টো দিকে বসে আছে ওর এক বন্ধু! ব্যস! দিব্যি গল্প চলত, সেটে কোন নায়িকা এসে কী বলেছে ওকে, কোন মেয়ে আড়চোখে তাকিয়েছে! ও রকম মাতাল অবস্থায় ওর সঙ্গে ঝগড়া করেই বা কী হবে! তাই চুপ করে সব শুনে রাখতাম।’’
তার পর?
পরদিন সকালে ‘সুস্থ’ ঋষিকে পাকড়াও করতেন নীতু। জিজ্ঞেস করতেন সেটের নায়িকাদের কথা। ঋষির তখন চোখ কপালে! খুচরো প্রেমের খবর বৌ জানল কী করে!