তৃণার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন কি সত্যি? খোলসা করলেন অভিনেতা নিজেই। ছবি: সংগৃহীত।
নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা ছোট পর্দার জনপ্রিয় জুটি। দিন কয়েক ধরেই টলিপাড়ায় ফিসফাস ‘তৃনীল’ জুটি নাকি ভাঙতে চলেছে! সমাজমাধ্যমের পাতায় একে অপরের সঙ্গে দেখা নেই তাঁদের। জন্মদিনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণা। তার পর বিবাহবার্ষিকীর দিন একা একা নীলের দুবাই ভ্রমণ। ঘটনাক্রম দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখেন তাঁদের নিন্দকেরা। এই মুহূর্তে ‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়ালে বিক্রমের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে নীলকে। সেট জুড়ে তৎপরতা। ভ্যালেন্টাইনস ডে স্পেশ্যাল পর্বের শুটিং চলছে। তাঁর ফাঁকেই প্রেম দিবসের সপ্তাহে তৃণার সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে কেমন কাটালেন, তাঁদের সম্পর্কের গতিপথই বা কোন দিকে, জানালেন নীল ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: কেমন আছেন ?
নীল: আপাতত ‘বাংলা মিডিয়াম’ নিয়ে ব্যস্ত।
প্রশ্ন: ‘কৃষ্ণকলি’র পর ফের টেলিভিশনের পর্দায় নীল-তিয়াশা জুটি, আপনাদের তালমিল কেমন?
নীল: চার বছর এক জনের সঙ্গে কাজ করেছি। তার পর দ্বিতীয় সিরিয়ালটাও ওঁর সঙ্গে। আসলে আমাদের দু’জনের তালমিলটা বেশ ভাল। দু’জনে দু’জনেই সুবিধা-অসুবিধাটা বুঝতে পারি।
প্রেম দিবসের সপ্তাহে তৃণার সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে কেমন কাটালেন, তাঁদের সম্পর্কের গতিপথই বা কোন দিকে, কী বললেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য? ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্ন: ভ্যালেন্টাইনস ডে চলে গিয়েছে, কিন্তু বাংলা মিডিয়াম ধারাবাহিকের সেটে এখন তোড়জোড় কেন?
নীল: যাঁরা এখনও প্রেমের দিনটাকে মিস করছেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই একটু দেরিতেই করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: বাস্তব জীবনে নীল কি ভ্যালেন্টাইনস ডে উদ্যাপন করেন?
নীল: মন চাইলে রোজই সেলিব্রেশন করা যায়, নয়তো কোনও বিশেষ দিন বেছে নেওয়া যায়। আসলে সবটাই তো মনের ব্যাপার।
প্রশ্ন: বিবাহবার্ষিকীতে একা একা দুবাই ঘুরলেন, তাই কি ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে তৃণার সঙ্গে ছবি দিতে হল?
নীল: ছবি না দিলে অনেক কথা হয়ে যায়। সেটা দেখতে পেলাম।
প্রশ্ন: আপনাদের সম্পর্ক ভাঙার খবরে চারদিকে, খারাপ লাগে না?
নীল: না না, খারাপ লাগে না এ সব খবরে। আসলে মানুষ ইনস্টাগ্রামে খুশি না দেখালে, ধরে নেওয়া হয় সে খুশি নেই।
প্রশ্ন: নীল-তৃণার ছাড়াছাড়ি তা হলে পুরোটাই রটনা?
নীল: আসলে কয়েক দিন আমরা সমাজমাধ্যমের পাতায় কোনও পোস্ট দিইনি। তা ছাড়া মানুষের তো এ ধরনের সম্পর্ক ভাঙার গসিপ শুনতে ভাল লাগে।
প্রশ্ন: প্রেম দিবসে ছবি পোস্ট করলেন তৃণার সঙ্গে, উপহারও কি দেওয়া হল কিছু?
নীল: হ্যাঁ, ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন দেখা হয়েছে, একটা গলার হার দিয়েছি, ঘড়ি দিয়েছি, একটা ম্যাকবুকও কিনে দিয়েছি।
প্রশ্ন: নিন্দকদের কিছু বলতে চান?
নীল: আসলে সকলে একটা গসিপ উপভোগ করছেন। আমি মনে করি কেউ আমাদের নিন্দক নন। আবার কেউ আমাদের পাশে বা পক্ষে থাকবেন, এমনটাও নয়। এটা আমাদের পেশারই একটা অঙ্গ। সবটা নিয়েই চলতে হবে।