নাসিরুদ্দিন শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
পেশাগত জীবন হোক অথবা ব্যক্তিগত, জনসমক্ষে বক্তব্য রাখতে কখনও পিছপা হননি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। নিজের মতপ্রকাশের জন্য একাধিক বার রোষের মুখে পড়েছেন অভিনেতা। সম্প্রতি যে ঘটনা সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে, তা কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা। ১৪ অগস্ট মধ্যরাত থেকে ঘুম নেই শহরবাসীর। পথে নেমেছেন সমাজের প্রায় সর্ব স্তরের মানুষের। সকলেই চাইছেন সুবিচার। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি। অভিনেতা- অভিনেত্রীরাও পিছিয়ে নেই। তাঁরাও শাস্তি চাইছেন ধর্ষকের। বদল চাইছেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার। অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বার বার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। এর মাঝেই পুরুষদের কী করণীয়, সেই পাঠই দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
কৃষক আন্দোলন থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্গতি নিয়ে যেমন সরব হয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তেমনই তিনি পরিবারের অন্দরের নারীদের প্রতি ঘটে চলা লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। গত বছর অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে সরব হন। স্ত্রী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেন। অভিনেতা বলেন, “আমি বহু পুরুষদের দেখি, যাঁদের গৃহিণী কর্মরতা নন। অফিস থেকে ফিরেই তাঁরা স্ত্রীর উদ্দেশ্যে নানা ফরমায়েশ করে বসেন। আমার প্রশ্ন তাঁদের কাছে, তুমি না পুরুষ! তা হলে এত ফরমায়েশ করো কেন? পুরুষই যদি হবে, তা হলে এত অল্পেই ক্লান্তি আসে কোথা থেকে?’’
পাশাপাশি তিনি সম্মান জানিয়েছেন সেই সব পুরুষদের, যাঁরা তাঁদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে জানেন। তাঁর কথায়, ‘‘যে সমস্ত পুরুষেরা ভাবেন, সংসারে আমার দায়িত্ব রয়েছে। বাড়িটা দু’জনের, দায়িত্বটাও দু’জনের, শুধু নিজের কাজ নয় সংসারকেও যাঁরা প্রাধান্য দেন, তাঁদের প্রতি সম্মান আছে।’’