একটা মৃত্যু। তুলে দিল অনেক প্রশ্ন। শুধু শোক নয়। প্রত্যুষাকে যাঁরা চিনতেন, যাঁরা চিনতেন না, এমন অনেকেই মুখ খুলছেন নানা জায়গায়। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ টেলিভিশনে। কেউ অন্যত্র। আত্মহত্যা না হত্যা সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল কোন পরিস্থিতি একটা লড়াকু মেয়েকেও এমন পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যদি এটি আত্মহত্যার ঘটনাও হয়, তবে কী তাঁকে বাধ্য করল এ দিকে যেতে? প্রশ্ন তুলেছেন এই দেশ, এই সমাজেরই বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বিজেপি নেত্রী সাজিয়া ইলমি যেমন বললেন, ‘‘এমন একজন অল্পবয়সী, সফল নায়িকার এ ভাবে মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। এই মৃত্যুর পিছনে যাই কারণ থাকুক, সেটা তো তদন্তসাপেক্ষ। যদি প্রত্যুষার বয়ফ্রেন্ডই দায়ি হয়, তা হলে বলব, কী ভাবে প্রেমিকাকে সম্মান করতে হয়, তা পুরু,দের শেখা উচিত। আরও যত্ন নিয়ে তাঁদের দেখভাল করা উচিত। তবে ইয়ং মেয়েদেরও মানসিক ভাবে আরও বেশি শক্তিশালী হতে হবে।’’
সমাজকর্মী আভা সিংহের দাবি, প্রত্যুষার মৃত্যু আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নিউক্লিয়ার পরিবারের সমস্যা। প্রত্যেকে এখন খুব একা। তাই মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরছে প্রতিটি মানুষকে।
অভিনেতা রাজা মুরাদ বললেন, ‘‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না প্রত্যুষার মতো একজন লড়াকু মেয়ে কী ভাবে আত্মহত্যা করতে পারে?’’
প্রত্যুষার সঙ্গে ‘বালিকা বধূ’তে অভিনয় করেছেন সুরেখা সিক্রি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শকড্। আমি ওকে একজন সেনসিটিভ মানুষ হিসেবেই চিনতাম। ও খুব ইমোশনাল ছিল। নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটেছিল, যাতে ও খুব কষ্ট পেয়েছিল।’’
প্রত্যুষার সহ অভিনেতা এজাজ খানের দাবি, ‘‘এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পনা করে খুন। ও এত দুর্বলও ছিল না, যে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেবে।’’
প্রত্যুষার সহ অভিনেত্রী ডলি বৃন্দা বললেন, ‘‘আমি ওকে বিগ বসের সময় থেকে চিনি। মানসিক ভাবে ও যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। ও আত্মহত্যা করতেই পারে না। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে।’’