Ritwick Chakraborty

Ritwik-Ditiprya: ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ’-এর ছায়া জেল সুপার? প্রজাতন্ত্র দিবসে ফুটবল নিয়ে ফিরছেন ঋত্বিক

সিরিজে ‘ফুটবলের জনক’ নন ঋত্বিক, তিনি কারাধ্যক্ষ রামকিঙ্কর। জেলবন্দি বিপ্লবীদের ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাতিয়ে দিতে তিনিই হাতে তুলে দেবেন ফুটবল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৭
Share:

ঋত্বিক কারাধ্যক্ষ রামকিঙ্কর।

২০২১-এ নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। ২০২২-এ ফের স্বমহিমায় ঋত্বিক চক্রবর্তী। হইচই-এর ওয়েব সিরিজে ‘গোরা’ হয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন। ভুলো মনের দক্ষ গোয়েন্দাকে পেয়ে এই প্রজন্ম বেশ খুশি। সেই রেশ কাটার আগেই ‘গোরা’ ভোল বদলে হচ্ছেন ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী’র ছায়া! জি৫-এর নতুন সিরিজ ‘মুক্তি’-তে।

না, এই সিরিজে ‘ফুটবলের জনক’ নন ঋত্বিক, তিনি কারাধ্যক্ষ রামকিঙ্কর। এবং নীরব দেশপ্রেমী। জেলবন্দি বিপ্লবীদের ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাতিয়ে দিতে তিনিই হাতে তুলে দেবেন ফুটবল। ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে দেখা যাবে অভিনেতার এই নতুন রূপ। সঙ্গী অর্জুন চক্রবর্তী, দিতিপ্রিয়া রায়, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, চিত্রাঙ্গদা, সুদীপ সরকারের মতো তারকা-অভিনেতারা। সিরিজের প্রথম ঝলক ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে। পরিচালনায় রোহন ঘোষ। প্রযোজনায় ফ্যাটফিশ।

একুশ শতকে আবারও দেশপ্রেম উস্কে দিতে পরিচালক কী ধরনের গল্প বুনেছেন?

ঝলক অনুযায়ী, ইংরেজদের অধীনে কাজ করলেও স্বদেশিদের উপরে দয়ালু মেদিনীপুর জেল সুপার। সেই জেলেই বন্দি হয়ে আসেন ডাকসাইটে বিপ্লবী অর্জুন চক্রবর্তী। ইংরেজের হাত থেকে তাঁকে এবং বাকিদের মুক্তি দিতে এক অভিনব ফন্দি আঁটেন জেল সুপার। রাজবন্দিদের হাতে তুলে দেন ফুটবল। ইংরেজদের অস্ত্রেই যাতে তাদের ঘায়েল করতে পারেন ভারতীয়রা। বাকিটা? ফুটে উঠবে সিরিজে।

Advertisement

তবে সিরিজের প্রথম ঝলক মনে পড়িয়ে দিয়েছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘গোলন্দাজ’, ফুটবলের জনক, তাঁর স্ত্রী কমলিনী এবং বিপ্লবী ভার্গব উপাধ্যায়কে। ছবিতে এই তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেব অধিকারী, ইশা সাহা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সিরিজে ফুটবল ম্যাচের আয়োজক ঋত্বিকের ছোট্ট বউ দিতিপ্রিয়া। বিশ্বস্ত বিপ্লবী সঙ্গী অর্জুন। সিরিজের সঙ্গীত পরিচালনায় ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।

‘মুক্তি’ নিয়ে ভীষণ উত্তেজিত দিতিপ্রিয়া। ঋত্বিকের সঙ্গে পর্দা ভাগ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন সব অভিনেতাই। দিতিপ্রিয়াও ব্যতিক্রম নয়। তার মতে, ‘‘দেশেপ্রেম আর ঋত্বিকদা যেন মিলমিশে একাকার। আশা করি, দর্শকদের খুবই ভাল লাগবে। ১৯৩১-এর গল্প হলেও কারাধ্যক্ষের স্ত্রী কিন্তু সেই আমলে যথেষ্ট আধুনিক ছিলেন। সেই সময়ের উচ্চারণ, হাঁটা, সাজ সবই অভিনয়ে ফোটাতে হয়েছে। কাজ করে ভাল লেগেছে।’’ আর অর্জুনের দাবি, ‘মুক্তি’র মুক্তি পাওয়ার উপযুক্ত তারিখ ২৬ জানুয়ারি ছাড়া আর কিছু হতেই পারে না। শুধুই দেশ স্বাধীন করা লক্ষ্য নয়, সকলেরই লক্ষ্য প্রতি মুহূর্তে সেই স্বাধীনতা ভোগ করা। একুশ শতকে সেই কথাই ফের মনে করিয়ে দেবে এই নতুন সিরিজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement