একটিও সিনেমা হল নেই। তবে একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে সেই রাজ্যে। কিন্তু কী ভাবে কাজ করে সেই ইন্ডাস্ট্রি? আর কী ভাবেই বা অর্থ রোজগার করেন দেশের এই রাজ্যের চিত্র পরিচালক থেকে অভিনেতারা? জেনে নেওয়া যাক।
ছবি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেই কোনও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে সাধারণত যোগাযোগ করেন ছবির পরিচালকেরা। তার পরে সেই ছবি লোকাল কমিউনিটি হলে প্রদর্শিত হয়।
টিকিট কেটে দর্শককে সেই স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিতে হয়। সেই টিকিট বিক্রি করে যে টাকা আয় হয়, তার একটা অংশ চলে যায় পরিচালকের কাছে। লোকাল কেবল চ্যানেলেও এক বছরের মধ্যেই সেই ছবিগুলি চলে আসে।
তবে সত্যিই কি এই রাজ্যে ছবি তৈরি করে পরিচালকদের পেট চলে? কখনও পরিচালকেরা ছবি তৈরির পুরো টাকা তুলে ফেলেন। কখনও আবার পুরো লোকসান করেই মানুষকে ছবিটা দেখাতে হয় পরিচালকদের।
কিন্তু তাও কেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন পরিচালকেরা? সেটা একমাত্রই সিনেমার প্রতি তাঁদের ভালবাসার কারণে। তবে বেশির ভাগ পরিচালক, অভিনেতা এবং টেকনিশিয়ানরা দিনের বেলায় অন্য কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন।
মাপুইয়া চোঙ্গটু এখানকার সব থেকে নামজাদা পরিচালক। তাঁর হিট ছবি ‘খাঙ্গলাঙ্গ রান’ তৈরি করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছিল।
কিন্তু এই রাজ্যে একটিও সিনেমা হল নেই কেন? আটের দশকে হাতে গোনা কিছু সিনেমা হল ছিল এখানে। কিন্তু আজ সেগুলির সবই বন্ধ।
পরিচালক নাপোলিয়ন আর জে থাঙ্গার কথায়, ‘রাজ্যের প্রত্যেকটা মানুষ সন্ধ্যে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চার্চের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। আর দুপুর বেলায় বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। বড়রা চলে যান তাঁদের অফিসে। সুতরাং ছবি দেখার কোনও সময়ই কারও হাতে থাকে না।’’
তবে খুব শীঘ্রই যে মানুষজনকে থিয়েটারে ছবি দেখাতে পারবেন, সেই আশায় দিন গুনছেন পরিচালকেরা। সরকার এবং ফিল্ম ফোরামের সহযোগিতায় রাজ্যে একটি জায়গায় ফিল্ম সিটি এবং ফিল্ম থিয়েটার তৈরি হচ্ছে। রাজ্যটি কোথায় জানেন? উত্তর পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্য মিজোরাম।