ডান্স ডান্স জুনিয়রের মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তী, মনামী ঘোষ আর দেব।
বড় কে? মেধা না ক্ষমতা? বাস্তবে ক্ষমতা অনেক সময়ই টেক্কা দিয়ে বেরিয়ে যায় মেধাকে। কিন্তু ছোটদের দুনিয়ায় তেমন ধারণা গেঁথে দেওয়া কি ঠিক! ডান্স ডান্স জুনিয়রের দ্বিতীয় পর্বের রিয়্যালিটি মঞ্চে তাই তৈরি করা হয়েছে এক ‘আনরিয়্যাল’ দুনিয়া। সেখানে মেধাই সর্বজয়ী। ছোট্ট প্রতিযোগীরা তাঁদের মেধা আর পারফরম্যান্সের জোরে ‘মহাগুরু’র থেকে শক্তি বাড়াবে। বেমালুম হারিয়ে দেবে মেধার দুনিয়ার অশুভ শক্তি ‘ক্ষমতা’কে।
অনুষ্ঠানের বিচারক প্যানেলেই ছিল চমক।
একই মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তী, দেব আর মনামী। এত দিন পর নাচের ‘মহাগুরু’র আসনে মিঠুনকে দেখতে পাওয়া বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের কাছে যে বড় পাওনা সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। কিন্তু ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’-এর প্রযোজক শুভঙ্কর চক্রবর্তী জানালেন, অনুষ্ঠানের ভাবনাতেও নতুন চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। যেখানে গোটা অনুষ্ঠানটা স্রেফ নাচের প্রতিযোগিতা না হয়ে একটা সফর হয়ে ওঠে। তবে সেই সফর হবে বাস্তবের বাইরে এক অবাস্তব দুনিয়ায়।
বিষয়টা শুনে একটু গম্ভীর মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। জানালেন অনু্ষ্ঠানের আর এক বিচারক মনামী ঘোষ, ‘‘দারুণ মজা করেছি আমরা শ্যুটিংয়ের সময়। আসলে মিঠুনদা ছিলেন যে! উনি সিরিয়াস হয়ে থাকতেই জানেন না। দু’টো সিরিয়াস কথা বললে চারটে মজার কথা বলেন। আর তাই দারুণ ঠাট্টা-মজার মধ্যে দিয়েই হয়েছে আমাদের শ্যুটিং।’’ এখনও পর্যন্ত অবশ্য একটি পর্বেরই শ্যুটিং হয়েছে। জানা গেল, ৩৩ জনকে নিয়ে অডিশন রাউন্ড পেরিয়ে পরের রাউন্ডে যাবেন প্রতিযোগীরা। তার মধ্যে সেরা পারফরম্যান্সকে বেছে নেওয়া হবে পরবর্তী ধাপের জন্য।
বিচারক প্যানেলের আর এক আকর্ষণ দেব। সিনেমার নায়ককে রোজ বাড়ির পর্দায় দেখাও তো কম কথা নয়। দেখা গেল মনামীও বেশ এক্সাইটেড, ‘‘এক দিকে দেবের মতো সুপারস্টার আর অন্যদিকে মিঠুনদা, যিনি দেশের নাচের জগতের আইডল। দু’জনের সঙ্গেই কাজ করতে দারুণ লেগেছে।’’ বললেন মনামী।
আর তিনি নিজে? ডান্সের রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হতে পেরে কেমন লাগছে? আমার তো দারুণ লাগছে। নাচতে আমি বরাবরই ভালবাসি। তাই এই শোয়ের অফার আসার পর দ্বিতীয় বার ভাবিনি।