গোটা ওয়েব সিরিজেই হিংসাত্মক ঘটনা ও যৌনতার ছড়াছড়ি। তবে মামলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বদনাম করা নিয়ে।
অ্যামাজন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ ‘মির্জাপুর ২’ বিতর্কে আপাতত স্বস্তি পেলেন দুই প্রযোজক ফারহান আখতার ও রীতেশ সিধওয়ানি। দু’জনের বিরুদ্ধেই মির্জাপুর শহর ও উত্তরপ্রদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। শুক্রবার ইলাহাবাদ হাইকোর্ট এ ব্যাপারে অভিযোগকারী ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে।
‘মির্জাপুর’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের হয় উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর কোতওয়ালির দেহাত থানায়। অভিযোগ ছিল, ‘মির্জাপুর’ ওয়েব সিরিজের প্রযোজকরা উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। ‘সংস্কৃতির পীঠস্থান’ মির্জাপুরকে সমাজবিরোধী ও ব্যভিচারীদের শহর হিসাবে দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ‘মির্জাপুর’-এর প্রযোজক সংস্থা এক্সেল এন্টারটেনমেন্টের দুই কর্ণধার ফারহান ও রীতেশের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়। শুক্রবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। সম্প্রতি ফারহান ও রীতেশ ওই এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে পাল্টা মামলা করেছিলেন ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। শুক্রবার সে ব্যাপারেই হাইকোর্ট যোগী আদিত্যনাথের সরকার ও অভিযোগকারীদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে ‘মির্জাপুর’-এর প্রযোজক সংস্থা এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটে়ডের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছিলেন। ওই ওয়েব সিরিজে মির্জাপুর শহরের গোষ্ঠীলড়াই এবং একাধিক গ্যাংস্টারের সঙ্গে রাজনীতিকদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। সিরিজটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি, আলি জাফর, বিক্রান্ত মেসিরা। গোটা ওয়েব সিরিজটিতেই হিংসাত্মক ঘটনা এবং যৌনতার ছড়াছড়ি। তবে তা নিয়ে মামলা হয়নি। মামলা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশকে ‘বদনাম’ করা নিয়ে। এর আগে ‘তাণ্ডব’ ওয়েব সিরিজ নিয়েও আদালতে মামলা হয়েছিল।