বাঁ দিক থেকে ডান দিকে রোহন ভট্টাচার্য, অঙ্গনা রায়, সোহম মজুমদার, শিলাদিত্য মৌলিক, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শুভ্রজিৎ মিত্র। নিজস্ব ছবি।
দেবী সরস্বতী যতটা বিদ্যার ততটাই সিনেমার। কারণ, নাচ, গান, অভিনয়শৈলীর ত্রিবেণী সঙ্গম এই একটি আঙিনায়। আর বাগ্দেবী শিল্প-সংস্কৃতিরও দেবী। এই ভাবনা থেকেই ‘সিনেমাওয়ালা’দেরও বড় আপন, বড় প্রিয় তিনি। তাঁকে ঘিরে একটি দিন তাই ছোটবেলায় ফিরে যাওয়ার দিন। এই ভাবনা থেকেই জন্ম ‘সিনেমা সরস্বতী’র। চলতি বছর যার বয়স পাঁচ।
“সারা বছর যেমন তেমন। একটি দিন আমরা সকলে মিলে এক হতেই পারি। সকাল থেকে আড্ডা দিতে পারি। ইচ্ছেমতো সময় কাটাতে পারি। ভরপেট খাওয়া দাওয়া করতে পারি। গান শুনতে পারি। একটা দিন শুটিং থেকে দূরে থাকতে পারি। এই ভাবনা থেকেই ‘সিনেমা সরস্বতী’র আয়োজন”, বসন্ত পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন সংগঠনের সভাপতি পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক। গল্ফগ্রিনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে, খোলা আকাশের নীচে তখন রুপোলি পর্দার তারকাদের ঝিকিমিকি উপস্থিতি! সকালে এসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি সংগঠনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। সভাপতি জানিয়েছেন, খালি পেটে অঞ্জলি দিতে এখনও সকলের কী উদ্দীপনা! দেবীর পুজো মিটলে তবে সকলে কুল খেয়েছেন। গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মেনে ‘সিনেমা সরস্বতী’-র প্রাঙ্গনে দেবীর আরাধনা শুরু হয় বেলা সাড়ে বারোটায়।
‘সিনেমা সরস্বতী’র প্রাঙ্গনে রোহন ভট্টাচার্য, রিয়া।নিদস্ব নিজস্ব ছবি।
পুজো হবে আর নিরামিষ খিচুড়ি, লাবড়া হবে না? এ দিন দুপুরের পংক্তি ভোজনে এ সবের সঙ্গে ছিল ভাজা, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি। সন্ধ্যা নামতেই জমজমাট রকমারি খাবারের স্টল। প্রাঙ্গনে উপস্থিত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র, তনুশ্রী চক্রবর্তী, সোহম মজুমদার, রোহন ভট্টাচার্য, অঙ্গনা রায় প্রমুখ। রোহন এ দিন সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে নানা জায়গায় পুজো দিয়েছেন। ঠিক ছোটবেলার মতো।
আর প্রেম? পাশে লাল-পাড় সাদা শাড়িতে সেজে ‘জ্যান্ত সরস্বতী’ অঙ্গনা। তিনিই জবাব দিলেন, “তারই ফাঁকে ফাঁকে হয়েছে। সারা দিন আমরা নানা জায়গায় গিয়েছি। সেখানেই এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।” দু’জনেই যেন ফিরে গিয়েছেন স্কুল-কলেজের দিনগুলোতে। একটু দূরে নতুন শিল্পীদের জন্য মঞ্চে বেঁধে দিয়েছে সংগঠন। সেখানে একের পর এক নবীন শিল্পী গান শোনাচ্ছেন উপস্থিত শ্রোতাদের। শিলাদিত্যের কথায়, ‘“সিনেমা সরস্বতী’ আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে। এখানে গান শুনিয়ে অনেকেই ছায়াছবিতে গানের সুযোগ পেয়েছেন। গীতিকার বা সুরকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেবীর আশীর্বাদে এটাই আমাদের সাফল্য।”