প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেব। নিজস্ব চিত্র।
২০১৯ সালে অতনু রায়চৌধুরী-র প্রযোজনা সংস্থা বেঙ্গল টকিজের প্রতিষ্ঠা। ছবির মাধ্যমে লক্ষ্মী আরাধনা ছিলই। ওই বছর থেকেই লেক ভিউ রোডের অফিসে বাগ্দেবীর আরাধনা করছেন তিনি। প্রযোজকের কথায়, “আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির দেবী সরস্বতী। তাঁর আরাধনা না করলে কী করে হয়?” এ দিনও তাঁর পাশে দেব। পুজোর পাশাপাশি এ দিন ‘প্রজাপতি ২’- এর অনুষ্ঠানিক ঘোষণাও করেন তিনি। আগামী জুন মাস থেকে লন্ডনে মিঠুন চক্রবর্তী, দেবকে নিয়ে শুটিং শুরু হবে। ছবিমুক্তি ডিসেম্বরে, বড়দিনে।
দেবীর সামনে পরিচালক অভিজিৎ সেন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অতনু রায়চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
তত ক্ষণে সেখানে হাজির পরিচালক অভিজিৎ সেন, কাহিনি-চিত্রনাট্যকার-পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, প্রযোজক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী প্ৰমুখ।
বাঙালির পুজো মানেই ভুরিভোজের আয়োজন। প্রসাদ হিসেবে প্রচুর ফল, মিষ্টি ছিলই। দুপুরের মেনুতে ফ্রাইড রাইস, আলুর দম, রাধাবল্লভি, ছোলার ডাল, দইবড়া, পনির বাটার মশালা, পাঁপড়, গুলাব জামুন।
অতনু রায়চৌধুরী-তনুশ্রী চক্রবর্তী এক ফ্রেমে। নিজস্ব চিত্র।
তবে এ দিন কাজ নয়, শুধুই আড্ডা-- এই মেজাজ নিয়ে অতীতে ফিরে গিয়েছিলেন লীনা, তনুশ্রী, অতনু। লীনা জানালেন, বাড়ির বদলে তাঁরও অফিসে পুজো হয়। সারা বছর চিত্রনাট্য লেখালিখির পরেও মন দিয়ে দেবীর আরাধনা করেন। তনুশ্রীর বাড়িতে প্রতি বছর পুজো হয়। বললেন, “ছোট বেলার অভ্যেস, অঞ্জলি দেব না! সেই ধারা বজায় রয়েছে এখনও। পুজো দিয়ে তবে কুল খেয়েছি।” পরনে বাসন্তীরঙা সিল্কের শাড়ি, মানানসই গয়না। খোলা চুল, লাল টিপ, হালকা রূপটানে কিশোরীবেলাকে মনে পড়িয়েছেন অভিনেত্রী। উপস্থিত প্রত্যেক পুরুষ পাঞ্জাবি-পাজামায় শোভিত।
বেশ খানি ক্ষণ সময় কাটিয়ে অভিজিৎ ফের জ়ি বাংলার শুটিংয়ে ব্যস্ত। তিনি ফের রাজারহাটে, স্টুডিয়োর অন্দরে।