মিলিন্দ সোমানের এই বয়সে নগ্ন শরীরের এমন উদযাপনে মুগ্ধ টলিপাড়া।
তিনি নগ্ন হলেন! এই প্রথম নয়। নগ্নতাকে সেলিব্রেশনের মোড়কে এনে বার বার মডেল দুনিয়াকে চমকে দিয়েছেন মিলিন্দ সোমান। ৫৫ বছরের জন্মদিনে গোয়ার সমুদ্র সৈকতে নগ্ন হয়ে দৌড় দিয়েছেন এই অভিনেতা। এই বয়সে নগ্ন শরীরের এমন উদযাপনে মুগ্ধ টলিপাড়া।
ফিটনেস ফ্রিক অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, “মিলিন্দ যা করেছেন তা এক কথায় অভিনব।ওঁর এই চেহারা আরও ১০ বছর উনি ধরে রাখতে পারবেন।তবে আমার অনুরাগীদের এমন কোনও উপহার আমি ৫৫ বছরে গিয়ে দিতে চাই না যা তারা সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে না।ফিটনেস উদযাপনের জন্য আমার কাছে শোভোন-অশোভনের যে লাইন আছে সেটা আমি পেরিয়ে যাব না।”
জন্মদিন সেলিব্রেশনের এই বিশেষ মুহূর্তে মিলিন্দের সঙ্গে রয়েছেন ছিলেন স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ার। আর স্বামীর এই কাপড়হীন ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন তিনি নিজেই।
অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা মিলিন্দের এই ছবিকে ‘পজিটিভিটির সেলিব্রেশন’ হিসেবে দেখছেন। তিনি বললেন, “ মিলিন্দ ভেতর থেকে এতটাই পজিটিভ যে নিজেকে এমন করে প্রকাশ করেছেন। খুব ‘ফিল গুড’ ছবি এটা। এরকম ফাটিয়ে চেহারা হলে আমিও ৫৫ বছরের জন্মদিন ওঁর মতো করেই সেলিব্রেট করব।”
মিলিন্দের কাছে বয়স শুধু সংখ্যা। তাই বছর কুড়ির ছোট মেয়েকে বিয়ে করে খোশ মেজাজে তিনি লিখেছিলেন,“ভালবাসায় বয়স কোনও বাধা নয়।”
আরও পড়ুন: নগ্নতা নিয়ে ছুৎমার্গ নেই, বিতর্ককে পাত্তা না দিয়ে নিজের শর্তেই বাঁচেন মিলিন্দ
অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় যেমন বললেন, “আমি অভিনয়ের জন্য ফিটনেসে মন দিয়েছি। ওঁর মতো ডেডিকেশন আমার নেই।তবে বরাবর উনি যে ভাবে সমাজের গড়পড়তা নিয়মের বাইরে গিয়ে জীবনকে সেলিব্রেট করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার। আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করব সমাজের তৈরি নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে কিছু করার।”
নব্বই দশকের মিলিন্দ আর আজকের মিলিন্দের শরীরের কোনও তফাত নেই।এই ছবি সেই কথাই বলছে।নেটাগরিকদের একাংশ অবশ্য এই ছবিকে ভাল চোখে দেখেননি। তাঁর ছবি নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম। তবে বিতর্ক কিছু নতুন নয় তাঁর জীবনে। মধ্য নব্বইয়ের দশকে জুতোর বিজ্ঞাপনে মডেল মাধু সাপ্রের সঙ্গে তিনি নগ্ন হয়ে হাজির হন ক্যামেরার সামনে। এই নিয়েও উঠেছিল সমালোচনার ঝড়।
বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কমল এবং নীল ভট্টাচার্য এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন।
ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য এই বিতর্কের বিষয়কে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করলেন। তিনি বললেন, “ছোটবেলায় এ ভাবেই তো তিনি জন্মেছিলেন। তখন কারোর সমস্যা হয়নি। এখন বড় হয়ে গিয়েছেন, এটাই কি অস্বস্তির কারণ? আমি ফিটনেস ফ্রিক। কিন্তু মিলিন্দের মতো নগ্ন দৌড়বাজির মতো সাহস বা শরীর কোনওটাই এখনও তৈরি করে উঠতে পারিনি। ফলে এই দৌড়ে আপাতত আমি নেই। পরে যদি সেই মনের জোর আনতে পারি হয়ত এতে একদিন আমিও সামিল হব।”
ধারাবাহিকের আর এক অভিনেতা জিতু কমল জানালেন মিলিন্দ তাঁর রোল মডেল। ওঁর মতো কার্ভ, মাসলস তৈরি করতে পারলে তিনি ধন্য হতেন। জিতুর মনে হয়েছে ৫৫ –র জন্মদিনে মিলিন্দ হয়তো জন্মানোর সময়টাকে অনুভব করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাজি, ভিড়ে রাশ টানতে ফের হাইকোর্ট ভরসা, কী বলছেন তারকারা?
শুধু ফেলে আসা সময়ের অনুভব নয়। আগামী কে জীবন্ত করে তুলতে প্রায়-ই ২০ বছর কমবয়সী স্ত্রী অঙ্কিতার সঙ্গে ম্যারাথনে অংশ নেন তিনি। ৭০ বছরের শাশুড়ির সঙ্গে পুশ আপ করেন।এ সব কিছুই নিজের কাছে নিজেকে ফিরিয়ে দেওয়ার, চাঙ্গা রাখার উপায়।