তনুশ্রী দত্ত।
দশ বছর আগেও নানা পটেকর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তবে সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ার এতটা রমরমা ছিল না। তাই নানার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে লোকজন ততটা জানতে পারেনি। এমনটাই জানিয়েছেন তনুশ্রী দত্ত।
এ দেশে #মি টু আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তনুশ্রী। অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধেও। তবে তনুশ্রী জানিয়েছেন, দশ বছর আগেও নানার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। মিডিয়ায় তা নিয়ে হইচইও হয়েছিল। তবে তা কোনও ভাবেই এতটা প্রচারের আলোয় আসেনি। বরং তা কেবলমাত্র ‘চমক’ জাগানোর প্রচেষ্টা হিসাবে তুলে ধরেছিল সংবাদংমাধ্যম। তবে এখন ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। তনুশ্রীর মতে, এর পিছনে রয়েছে শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব।
তনুশ্রী বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া এমন অনেক মানুষকে (যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে) কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে যাঁরা কখনও মুখ খোলার সাহস পাননি।”
আরও পড়ুন
আট বছর আধ্যাত্মিকতায় ডুবে ছিলাম, বললেন তনুশ্রী
নানা পটেকর ছাড়াও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তনুশ্রী। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং ফ্লোরে নানা পাটেকর তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। সে ছবিতে মুখ্য অভিনেতা হিসাবে নানার সঙ্গে একটি আইটেম গানের সময় ওই ঘটনা ঘটেছিল। তনুশ্রীর অভিযোগ, সেই গানের দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় তাঁর সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহার করেন নানা। এমনকি, ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন নানা।
তনুশ্রীর আরও দাবি, সে প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ায় একটি রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মীকে সেটে ডেকে আনেন নানা। তাঁরা তনুশ্রীর গাড়িতে ভাঙচুরও করেন। নানার সঙ্গে মিলে কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া এবং রাকেশ সরং-সহ সেটের অধিকাংশই তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করেন। সে কারণে ওই আইটেম সং থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
নানা ছাড়াও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন তনুশ্রী। ২০০৫-এ রিলিজ হওয়া ফিল্ম ‘চকোলেট’-এর সেটে নাকি তনুশ্রীর সঙ্গে অভব্যতা করেছিলেন পরিচালক বিবেক। বিবেক নাকি তনুশ্রীকে পোশাক খুলে নাচের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই সমস্ত দাবির পাল্টা হিসাবে ইতিমধ্যেই তনুশ্রীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন নানা এবং বিবেক।
আরও পড়ুন
#মিটু বিতর্কে মুখ খুললেন ক্যাটরিনা, বললেন...
তবে নানা বা বিবেক, কারও বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে সরে আসছেন না তনুশ্রী। দশ বছর আগের সেই ঘটনা এখনও কেন ফের তুলছেন তিনি? এ প্রসঙ্গে তনুশ্রী বলেন, “আমাদের এই প্রশ্নটা করা উচিত নয়, কেন আগে বলেনি, কেন এখন মুখ খুলছ?’ মানুষ তো আর রোবট নয়। ফলে এ ধরনের ইস্যুগুলি নিয়ে আমাদের আরও সংবেদনশীল হতে হবে।”