#মিটু বিতর্কে এবার অনু মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন শ্বেতা পণ্ডিত।
সোনা মহাপাত্রের পর এ বার শ্বেতা পণ্ডিত। #মিটু বিতর্কে অভিযোগের বহর বাড়ছে সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিকের বিরুদ্ধে। পণ্ডিত যশরাজের নাতনি শ্বেতার অভিযোগ, তাঁর যখন ১৫ বছর বয়স, তখন মুম্বইয়ের একটি স্টুডিয়োতে অনু মালিক তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। অনু শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারে আসক্ত বলেও টুইটারে নিজের #মিটু শেয়ার করেছেন সঙ্গীত শিল্পী শ্বেতা। সাবধান করেছেন তরুণ গায়িকাদের।
ঘটনা প্রায় ১৭ বছর আগের। শ্বেতা লিখেছেন, মুম্বইয়ের এম্প্যায়ার স্টুডিয়োতে তাঁকে ডেকে পাঠান অনু মালিকের ম্যানেজার। অনু তখন সুনিধি চৌহান ও শানের সঙ্গে ‘আওয়ারা পাগল দিওয়ানা’ সিনেমার একটি গ্রুপ সং রেকর্ড করছিলেন। গায়ক-গায়িকাদের গান করার একটি ছোট্ট কেবিনে আমাকে বসতে বলেন। সেখানে শ্বেতা এবং অনু মালিক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সেখানেই কয়েক লাইন গাইতে বলেন।
শ্বেতার অভিযোগ, ‘‘আমি ভালই গান করলাম। তার পরেই উনি বললেন, ‘এই গানটা আমি শানের সঙ্গে তোমাকে দিয়ে করাব। কিন্তু তার আগে আমাকে চুমু দাও। তার পর তিনি হাসলেন। এখনও মনে করতে পারি, আমি ও রকম খারাপ দেঁতো হাসি প্রথম দেখলাম। আমার বয়স তখন মাত্র ১৫, স্কুলে পড়ি।’’
শ্বেতার বক্তব্য, যে কেউ সেই মুহূর্তে আমার অনুভূতি আন্দাজ করতে পারেন। আমার মনে হচ্ছিল, কেউ যেন আমার পেটে ছুরি মেরেছে। আমি ওঁকে অনু আঙ্কেল বলে ডাকতাম। আমার পরিবার এবং সঙ্গীত ঘরানা সম্পর্কেও জানতেন উনি।
আরও পড়ুন: ‘#মিটু’ আন্দোলন চালিয়ে যাব, বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগেও অনড় নন্দিতা
আরও পড়ুন: #মিটু বিতর্কে কী বলছেন বলি তারকারা?
সোনা মহাপাত্রের পর শ্বেতার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন অনু। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘‘অভিযোগ হাস্যকর। এ নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এখন তো যে কেউ যা খুশি বলে দিচ্ছে।’’