বিবেকানন্দ রোডের বাড়ির লেটার বক্সে হঠাৎ একটা চিঠি।
খামের ওপরে লেখা স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।
হঠাৎ ‘বেলাশেষে’র আরতি মজুমদারকে আবার চিঠি কে পাঠালেন?
তিনি ছিলেন না বাড়িতে, রাতে বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন চিঠি এসেছে মুম্বইয়ের জুহু থেকে।
পাঠিয়েছেন ‘পিকু’র বাবা ভাস্কর ব্যানার্জি।
হ্যাঁ, দিন চারেক আগে অমিতাভ বচ্চনের চিঠি এসে পৌঁছেছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের কাছে।
সপ্তাহ দুই আগে ‘বেলাশেষে’ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন অমিতাভ। এমনকী স্বাতীলেখার চরিত্রে যে জয়া বচ্চনকে ভাল মানাবে এটাও নাকি অমিতাভকে জানিয়েছিলেন তাঁর ফ্যানেরা। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের এই ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ লেটারটা প্রধানত নান্দীকারের কর্মীদের জন্যই। যাঁরা তাঁর ব্লগ এবং টুইটারে বেশ কিছু প্রশংসাসূচক কমেন্ট করেছেন।
সবিস্তারে চিঠিটি পড়তে ক্লিক করুন।
‘‘আমি তো ভাবতেই পারিনি উনি আমাকে এ ভাবে চিঠি লিখবেন। আমার কোনও ভাষা নেই এ চিঠি পাওয়ার পর। আমার জীবনের বড় একটা পুরস্কার হয়ে রইল এ চিঠি,’’ বললেন আবেগে উচ্ছ্বসিত স্বাতীলেখা।
তা ছাড়া অমিতাভ চিঠিতে এটাও লিখেছেন, ‘এই চিঠি এক শিল্পীর প্রতি আর এক শিল্পীর শুভেচ্ছা।’
এই বয়ানে আরও বিমোহিত হয়েছেন স্বাতীলেখা। বলছেন, ‘‘আমার ভাবনার অতীত এই চিঠি। ছোটবেলা থেকে ওর সব ছবি দেখেছি। উনি অভিনয়ের ঈশ্বর। ওঁর আশীর্বাদ পাওয়া যে কতখানি আমার কাছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আমার ভাষা নেই।’’ কিন্তু স্বাতীলেখা কি ভেবেছিলেন অমিতাভের মতো শিল্পীর সঙ্গে এই ভাবে কোনও দিন যোগাযোগ হবে?
‘‘হ্যাঁ ভাবতাম। অভিনেত্রী হিসাবে মনে মনে একটা ক্ষীণ আশা ছিল চিরকালই—যদি যোগাযোগ হয় একবার। সেই আশাই কী ভাবে যেন পূর্ণ হয়ে গেল এই চিঠির মাধ্যমে।’’
কিন্তু পিকুর বাবাকে কি উত্তর পাঠিয়েছেন আরতি মজুমদার?
হেসে বলেন, ‘‘উত্তর তো দেবই। কিন্তু ওঁকে কী বলে ধন্যবাদ জানাব সেটাই এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি।’’