২০২২ সালের ২৯ মে, সিধুকে তাঁর নিজের গ্রামে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল দুষ্কৃতীরা। —ফাইল চিত্র
মৃত্যুর পরও বার বার শিরোনামে উঠে আসেন পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। তাঁকে গুলি করে হত্যার পর বছর ঘুরতে চলেছে। গায়কের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম যদিও নীরব নয়। ভক্তদের ভালবাসা ছুঁয়ে রয়েছে সিধুকে। সেই পেজেই ৮ এপ্রিল মুক্তি পেল তাঁর শেষ গাওয়া গান ‘মেরা না’। সেই গানে চোখ ভিজল অনুরাগীদের।
প্রিয় গায়কের কণ্ঠে নতুন গান শুনতে পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। কিন্তু সিধু যে আর নেই, সেই বোধ একই সঙ্গে বেদনাদায়ক। চোখের জল বাধ মানল না তাঁদের। ভেসে এল হৃদয়স্পর্শী মন্তব্যের সারি। প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিধুর শেষ গান ভাইরাল সমাজমাধ্যমে।
সিধুর বাবা-মা আগেই ঘোষণা করেছিলেন, পুত্রের গান আসতে চলেছে। গুড ফ্রাইডের বিশেষ দিনে এল সিধুর গান।
পঞ্চাবে এমনিতেই শিল্পী হিসাবে সিধুর জনপ্রিয়তা বিপুল। দুষ্কৃতীদের গুলিতে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর এই না-শোনা গানটি নিয়েও ভক্তরা উদ্বেল, যেন এই গানের মধ্যে দিয়েই ফিরে পাচ্ছেন তাঁকে। মৃত্যুর পর এটি সিধুর মুক্তি পাওয়া তৃতীয় গান।
সিধু-হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। সিধুর ঘনিষ্ঠ গায়ক মিকা সিংহ দাবি করেছিলেন, সিধু পঞ্জাবে খুন হয়ে যাওয়ায় তিনিও ভয় পেতেন, রাতে ঘুম আসত না। পঞ্জাব আর শিল্পীদের জন্য নিরাপদ নয় বলেই জানান তিনি। তবে শুধু পঞ্জাবে নয়, সিধুর মৃত্যুর পর মুম্বই শহরে বসেই মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন অভিনেতা সলমন খান ও তাঁর বাবা সেলিম খান। সিধু-হত্যায় অভিযুক্ত লরেন্সের দলের আততায়ীদের একে একে হাজতে পুরেছে পুলিশ।
নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং গানের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার দক্ষতার কথা লিখেছেন গুরশামসির সিংহ। ২০২২ সালের ২৯ মে সিধুকে তাঁর নিজের গ্রামে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই থেকে সুবিচার চেয়ে চলছে আন্দোলন। পথে নেমে মোমবাতি মিছিল করেন সিধুর পরিবার-পরিজনেরা। তার মধ্যে শেষ গান এসে যেন আরও কিছুটা বিষাদ ঢেলে দিয়ে গেল।