সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেননি জীতু কমল। তাঁর নিজের কথায়, সেটা সম্ভবও ছিল না। বরং যেমন রেফারেন্স দিয়েছিলেন অনীক দত্ত, সেই অনুযায়ী একটি চরিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন শুধু। যদি এক বার ভাবতেন সত্যজিৎ রায় হচ্ছেন, তা হলে আর পারতেন না, এমনটাই বলছেন তাঁর পর্দা-রূপ ‘অপরাজিত রায়’!
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে সরল স্বীকারোক্তি অভিনেতার। তাঁর কথায়, যত না কঠিন ছিল চরিত্র ফুটিয়ে তোলা, তার থেকেও বেশি কঠিন, সেই চরিত্রের ঘোর থেকে বেরনো। যা নাকি এখনও পারেননি জীতু। জানালেন, শ্যুটিংয়ের শেষ দিন হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন।
অভিনেতা বলেন, ‘‘সেই কাজের পরিবেশ, কলটাইম, অনীকদার গলা— এ সব কিছু আর শুনতে পাব না ভাবলেই কষ্ট হচ্ছে খুব।’’ তাঁর দাবি, পরিচালক অনীক দত্ত যে কাজের পরিবেশ দিয়েছেন, তাকে যথার্থ কর্মক্ষেত্র হিসেবে ভাল না বেসে উপায় ছিল না। সে কারণেই এখন কাজ শেষের শূন্যতাও যেন কাটতে চাইছে না!
আর সত্যজিৎ-সাজ? শিশুর মতোই আবেগে জীতু বলে চলেন, ‘‘ওই পোশাকটা আর পরব না, ওঁর মতো করে বসব না, কথা বলব না— এ সব ভাবতেই পারছি না।’’ তবে তার পরেই লাজুক হেসে অভিনেতা জানান, এই ‘সত্যজিৎ-বেলা’য় ব্যবহার করা বেশ কিছু জিনিস সেট থেকে চেয়ে এনেছেন তিনি। যেমন সিগারেট, দেশলাই বাক্স, পেন! জীতু চাইতেই অবশ্য সানন্দে তাঁকে সে সব দিয়েও দিয়েছেন নির্মাতারা। ‘সত্যজিৎ’-এর জিনিস যে তাঁর ছায়াকেই মানায়!
ছবি শেষ। তবু এখনও রোজ দিনে ১০ মিনিট করে ‘অপরাজিত রায়’ হওয়ার অভ্যাস বজায় রেখেছেন জীতু। এ মায়া পুরোপুরি ছেড়ে অন্য জীবনে যেতে ভালই লাগছে না তাঁর! হয়তো ভাবছেন, কে জানে, আবার কখনও এমন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মিলবে কি না!