মধুমিতা ও সৌরভ
মধুমিতা সরকার ও সৌরভ চক্রবর্তী। এঁরা হলেন ওয়র্কোহলিক কাপল! শুনলে অবাক হবেন, কাজই তাঁদের ধ্যানজ্ঞান, কাজই তাঁদের অবসর। গিন্নি মধুমিতা সারা দিন ডেলিসোপ নিয়ে ব্যস্ত এবং তাঁর কথায়, ‘‘গত ছ’-সাত বছর ধরে টানা সিরিয়াল করে যাচ্ছি। জীবনে বিশ্রাম আমি খুব কমই পেয়েছি।’’ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁদের প্রোডাকশন হাউস ট্রিকস্টার। যা নিয়ে আবার সৌরভ প্রবল ব্যস্ত। ওয়েবসিরিজ, শর্টফিল্ম, বিজ্ঞাপন সব কিছু সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। অভিনয়ের পাশাপাশি মধুমিতা আবার সৌরভকে প্রোডাকশনের কাজেও সাহায্য করেন। এর পর পরস্পরকে সময় দেন কখন? ‘‘আমি খুব লাকি যে, আমার হাজব্যান্ডও কাজ ছাড়া কিছু বোঝে না। আমাদের ভালবাসাটাও কাজ দিয়েই আর কী! ওকে সারাদিন প্রচুর মিটিং করতে হয়। অঢেল কাজ। তার মধ্যেই আমরা বাড়িতে ‘এটা দরকার বা ওটা করতে হবে’, সেগুলো ঠিক বলে নিই। আসলে সবটাই একটা রুটিনের মধ্যে পড়ে গিয়েছে,’’ উত্তর দিলেন মধুমিতা। আর সৌরভের কথায়, ‘‘সময় কিন্তু কিছুটা বাঁচেই। তবে সারা দিন পর যখন আমি আর মধুমিতা ফিরি, তখনও কাজের কথাই বলি। আলাদা করে সংসারের কথা বলা হয় না। ধরুন, একটা চরিত্রের লুক নিয়ে কথা বলছি, এই চরিত্রটা এ রকম হতে পারত... বলতে-বলতে হঠাৎ বলি, ‘অ্যাই, বাড়িতে কিন্তু লংকা নেই’। আর কাজ ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে কী-ই কথা বলার থাকতে পারে? এটাই হল আমাদের সমস্যা!’’ আমাদের মতোই নাকি সবাই সৌরভ-মধুমিতার কাছে জানতে চায় যে, তাঁদের সাংসারিক দিকগুলো কে সামলায়? সৌরভ উত্তর দিলেন, ‘‘সেটা ঠিক হয়ে যায়। খিদে পাবে, তার জন্য রান্না করতে হবে। সব কিছুর জন্য টাকা রোজগার করতে হবে এবং তার জন্য কাজ করতে হবে। এগুলো আলাদা করে সামলানোর প্রয়োজন আমাদের এখনও পর্যন্ত হয়নি।’’ ভাল থাকুন মধুমিতা-সৌরভ!