কানাডায় জন্ম। বাবা-মা মরক্কোর বাসিন্দা ছিলেন। ইংরাজি তো বটেই, হিন্দি, আরবি ভাষাতেও যথেষ্ট সাবলীল। মাল্টিকালচারাল’ পরিবেশে বড় হওয়া এই বলিউড নায়িকা কে জানেন?
প্রথমে বিগ বস হাউস তাঁকে সংবাদের শিরোনামে এনেছিল। ২০১৫ সালে নবম সিজনে সলমন খানের জন্যই ওই শোয়ে অংশ নিতে চেয়েছিলেন নোরা ফতেহি, একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেন তিনি।
প্রথমে দক্ষিণী ছবিতে আইটেম নম্বর দিয়ে শুরু। তার পর আসতে থাকে একের পর এক অফার।
‘রোর-দ্য টাইগার অব সুন্দরবনস’, ‘ক্রেজি কুক্কড ফ্যামিলি’ তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দেয় দক্ষিণ ভারতীয় ছবির জগতে।
একাধারে নাচ, অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষ এই বলি নায়িকা। ‘স্ত্রী’ ছবির ‘কামারিয়া’ এবং ‘সত্যমেব জয়তে’ ছবির ‘দিলবর’— এই দু’টি আইটেম নম্বরই নোরা ফতেহিকে বলিউডে জায়গা পাকা করে দিয়েছে বলে মনে করছেন সিনেপ্রেমীরা।
‘টপ মডেল ইন্ডিয়া’ এবং ‘এমটিভি ডেটিং ইন দ্য ডার্ক’ দু’টি রিয়্যালিটি শো’য়ে সঞ্চালনাও করেছেন তিনি।
‘দিলবর’-এর ক্ষেত্রে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ভিউ ছিল ইউটিউবে। ‘দিলবর’-এর আরবি সংস্করণেও নেচেছেন নোরা। মরক্কোর একটি হিপহপ গ্রুপের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
শুধু নাচ বা অভিনয় নয়, গানেও বেশ পারদর্শী নোরা। ‘দিলবর’ গানের আরবি রিমেকটি গেয়েছেন নোরা নিজেই।
সারা পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে, ক্যাফেতে, লাউঞ্জে ‘দিলবর’ গানটা বাজতে শুনেছেন নোরা। তাঁর কথায়, ‘আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওটাই’।
রেমো ডি’সুজার ছবি ‘স্ট্রিট ডান্সার’-এ বরুণ ধওয়ন ও শ্রদ্ধা কপূরের সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে। সলমন খানের ‘ভারত’ ও জন আব্রাহামের ‘বাটলা হাউস’-এ তাঁকে এর পর দেখতে পাবেন দর্শক। জন আব্রাহামের ‘বাটলা হাউস’-এ কাজ করার সময় তিনি চোটও পেয়েছিলেন, তবু নাচ আর অভিনয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেননি তিনি।
২০১৬ সালে পরপর দু’টি রিয়্যালিটি শো’তে অংশগ্রহণ করেছিলেন অভিনেত্রী। জনপ্রিয় সেই রিয়্যালিটি শো দু’টি হল ‘কমেডি নাইটস বাঁচাও’ এবং ‘ঝলক দিখলাজা ৯’।
ইমরান হাসমি এবং গুরমিত চৌধরি অভিনীত এবং বিক্রম ভট্ট পরিচালিত ‘মিস্টার এক্স’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন নোরা।
‘বাহুবলী-দ্য বিগিনিং’-এও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘মনোহরি’-র তালে পা মিলিয়েছিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে খুব বেশিদিন হল আসেননি নোরা, আর এরই মধ্যে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৪৩ লক্ষ।
অঙ্গদ বেদীর সঙ্গে নাকি ডেট করতেন নোরা। মাস কয়েক আগে অঙ্গদের বিয়ে হয় নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি, এর পর তাঁদের সঙ্গে দেখা হতেই নোরা নাকি ‘কোল্ড স্টেয়ার্স’ দিয়েছিলেন। নোরা তা মানেননি, বরং টুইটারে শেয়ার করেছিলেন, অনেকে তাঁর চাহনিকে ‘ইভিল ভাইবস’ বললেও আসলে সেই সময় তিনি পিৎজা-বার্গারের কথা ভাবছিলেন।