‘বা বহু অওর বেবি’র সুবোধ ঠক্কর নাকি, ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই: টেক টু’-এর রসেচ সারাভাই? রাজেশ কুমারের কোন চরিত্রটি আপনার সবচেয়ে পছন্দ? হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এই অভিনেতা ইদানীং কী করছেন জানেন? গ্যালারির পাতায় দেখে নিন অভিনেতা রাজেশ কুমারের হাল-হকিকত।
মাস ছয়েক আগে বিহারে নিজের গ্রামে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজেশ, লাইমলাইট থেকে বহু দূরে চাষ করার লক্ষ্যে। তবে যেমন তেমন চাষ নয়, একেবারে বিশুদ্ধ পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ। যে চাষে রাসায়নিকের ছিটেফোঁটা অবধি থাকবে না।
বিহারের বর্মা গ্রামের মানুষদের এই ধরনের বিশেষ চাষের প্রক্রিয়া নিয়ে সজাগ করতে সেখানে যান রাজেশ। বর্মাকে ‘স্মার্ট ভিলেজ’ তৈরি করবেন বলে ঠিক করেন রাজেশ।
বর্মা গ্রামেই এখনও রয়েছে রাজেশদের পৈতৃক ভিটে। মুম্বই মিররকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজেশ বলেছেন, ‘গত বছরে যখন বর্মা গিয়েছিলাম নিজের চোখে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। চোখের সামনে অগুনতি শাক-সবজি আর ফলমূল। আমার বাবা একটা পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তুলেছিলেন। সেই জমিতে কোনও রকমের রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়াই আজ এত ফলন।’
বর্মা গ্রামের বাসিন্দাদের চাষের এই বিশেষ পদ্ধতির ব্যাপারে বেশ কিছু দিন ধরেই শিখিয়ে আসছেন রাজেশ। সরেজমিনে চাষ করেও দেখিয়েছেন। এমনকী চাষিরা হাতনাতে ফলও পেয়েছেন।
ইদানীং, গরুর দুধ দুইয়েই সকাল শুরু হয় রাজেশ কুমারের। আর তার পরই বেরিয়ে পড়েন জমির দেখভাল করতে। এক ঝাঁক ধারাবাহিকে অভিনয় করে গিয়েছেন একনাগাড়ে। তবে এখন আর লাইমলাইটকে মিস করেন না তিনি। ভাল লাগে না মেট্রো সিটির ঝাঁ চকচকে জীবনও।
এই বিষয়ে রাজেশের স্পষ্ট উপলব্ধি,‘সূর্যাস্তের পর তো প্রায় সবকিছুই অচল হয়ে যায় এই গ্রামে। কিন্তু তবুও যেন অতিন্দ্রিয় সুখানুভূতির আভাস মেলে। তবে এখানে নিজের মনের কথাটা অনেক বেশি করে শোনা যায়।’