এই ছবিটিই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন মনীষা কৈরালা।
‘সঞ্জু’ নিয়ে উন্মাদনা চতুর্দিকে। আর কয়েক দিন পরেই সঞ্জয় দত্তের জীবনের এক একটা পর্ব নিয়ে হাজির হচ্ছেন রণবীর কপূর। লুকেও এক্কেবারে হবহু সঞ্জয়ের সঙ্গে মিল।
তবে শুধু রণবীর নয়। অন্যান্য চরিত্রগুলির লুকেও নজর দিয়েছেন পরিচালক রাজু হিরানি। ঠিক যেমন সঞ্জয় দত্তের মা নার্গিসের চরিত্রটি। যে চরিত্রে পর্দায় দেখা যাবে মনীষা কৈরালাকে।
পর্দায় নার্গিস হয়ে ওঠার জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মনীষাকে। সে কথাই ইনস্টাগ্রামে ফ্যানেদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন খোদ মনীষা।
আরও পড়ুন
আমি প্যারালাল ইন্ডাস্ট্রি! আমার কোনও ইন্ডাস্ট্রির দরকার নেই!
হুবহু নার্গিসের লুকটি আনতে মনীষার হেয়ার স্টাইলে অনেক পরিবর্তন করতে হয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে মনীষা লিখছেন, “বই, ছবি আর ডকুমেন্টারি দেখে লুক নিয়ে অনেক পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে হেয়ার স্টাইল তো অনেকবারই বদলানো হয়েছে।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনীষা বলেছেন, “এটা আমার কাছে এক্কেবারে নতুন। কারণ, সঞ্জুর জন্য আমাকে অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে। সঞ্জয়ের ডেবিউ ছবি রিলিজ না করা অবধি নার্গিস তাঁর অসুস্থতার কারণ সঞ্জয়কে জানাতে চাননি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রকি রিলিজের আগেই মৃত্যু হয় নার্গিসের। আর তাতে খুবই ভেঙে পড়েন সঞ্জয়।’
আরও পড়ুন
জয়জিতের ছেলে এ বার অভিনেতা, কোন সিনেমায় জানেন?
নিজেও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মনীষা কৈরালা। সেরে ওঠার পর এটাই তাঁর কামব্যাক ছবি। আর কামব্যাক ছবিতেও সেই ক্যানসার রোগীর ভূমিকাতেই অভিনয়। কেননা, এই ক্যানসারের জন্যই সঞ্জয় দত্তের ডেবিউ ছবিটি আর দেখে যেতে পারেননি তাঁর মা নার্গিস দত্ত।
মনীষা বলছেন, “নার্গিসের চরিত্রে অভিনয় করতে মনোবল অনেকটাই বাড়াতে হয়েছিল আমাকে। আমার মনে হয়েছিল তাঁর লুকটা হুবহু তুলে ধরার থেকেও, বেশি জরুরি তাঁর সত্ত্বাটাকে তুলে ধরা। তাঁর মেজাজ, তাঁর অন্তরাত্মা— এ সব কিছুই আমাকে বুঝতে হয়েছিল। এখন আমি আদৌ উত্তীর্ণ হতে পারলাম কি না, তা ঠিক করবেন আপনারাই।”
ছবি সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম।