রাজ কৌশল এবং মন্দিরা বেদী
শোকবার্তা, প্রশংসা ফের সমালোচনা। স্বামীর প্রয়াণের পর থেকে সব ধরনের মনোভাবই প্রকাশ্যে আসছে অভিনেত্রী-সঞ্চালক মন্দিরা বেদীকে নিয়ে।
গত বুধবার ভোর বেলা মন্দিরা বেদীর স্বামী ও পরিচালক-প্রযোজক রাজ কৌশল চট্টোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হৃদরোগে আত্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
শবদেহ বার করে আনা থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ তোলা পর্যন্ত সমস্ত ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে প়়ড়েছে নেটমাধ্যমে। শেষকৃত্যের আগের একাধিক ছবি নেটাগরিকদের সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, মন্দিরা নিজের স্বামীর দেহের পাশ ছেড়ে যেতে চাইছেন না। তাঁর দেহ কাঁধে তোলা থেকে শুরু করে, নিয়ম অনুযায়ী, আগুনের মালসাও হাতে তুলে নেন তিনি।
রাজের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরে নেটমাধ্যম ভরে ওঠে শোকবার্তায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে প্রশংসাও। সাধারণত শবদেহ কাঁধে তোলার দায়িত্ব থাকে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের উপর। কিন্তু পিতৃতন্ত্রের মুখে ছাই দিয়ে এ বার সেই রীতি ভেঙে দিলেন মন্দিরা বেদী। স্বামীকে কাঁধ দেওয়ার দৃষ্টান্তে তাই মুগ্ধ হয়েছিল একাংশ নেটপাড়া।
কিন্তু বেশি সময় পেরতে হয়নি। সৎকারের সময়ে টি-শার্ট ও জিন্স এবং স্বামীকে কাঁধ দেওয়া নিয়ে সমালোচনায় নেমে পড়লেন নেটাগরিকের একাংশ।
মন্দিরাকে আক্রমণ নেটপাড়ায়
কারও বক্তব্য, ‘হিন্দু ধর্মে স্বামীর সৎকারে অংশগ্রহণ করেন না স্ত্রী। শ্মশানে যাওয়াও বারণ। এখানে এ সব কী হচ্ছে! কেউ কিছু বলছেও না।’ কারও মতে, স্বামীর মৃত্যুর পরে সাদা টি-শার্ট আর জিন্স পরে সেজে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন মন্দিরা। কেউ আবার সাদা শাড়ি না পরার জন্য তোপ দাগলেন অভিনেত্রীকে। জনৈক নেটাগিরক মন্দিরার ‘অভিনয়’-এর জন্য অস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন।
মন্দিরার পাশে দাঁড়ালেন গায়িকা সোনা মহাপাত্র। শুক্রবার সন্ধেবেলা টুইট করে সমালোচনার প্রতিবাদ করলেন তিনি। সোনা লিখলেন, ‘কিছু মানুষ এখনও মন্দিরা বেদীর পোশাক এবং স্বামী রাজ কৌশলের শেষকৃত্যে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে মন্তব্য করে চলেছেন। এ সবে আমাদের অবাক হওয়া উচিত নয়। মূর্খামিই তো বিশ্বের অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ উপাদান।’
সঞ্চালক মিনি মথুরও টুইটারে লিখেছেন, ‘কোথায় এক জন শোকার্ত মহিলার পাশে দাঁড়াবেন, তা না, সেই সময়ে মন্দিরা পোশাক বদলায়নি কেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন করছে কিছু মানুষ!’