মানালি।
অতিমারিতে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে সারলেও মধুচন্দ্রিমা হয়নি। বলেছিলেন, পরে কোথাও না কোথাও ঠিক বেরিয়ে পড়বেন। পরিস্থিতির একটু উন্নতি হতেই সুযোগের পুরো সদ্ব্যবহার করলেন নতুন দম্পতি অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়-মানালি মনীষা দে। গত দু’দিন ধরে সপরিবার তাঁরা দার্জিলিংয়ে। শৈলশহরের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশাপাশে। পথঘাট মুখ লুকিয়েছে কুয়াশায়। সূর্যও ম্লান।
এমন পরিবেশেও চনমনে মানালি। পরনে মিষ্টি গোলাপি জ্যাকেট, জিন্স। চুল তুলে পনি করা। এক পাশে বাবা আর এক পাশে অভিমন্যুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী। তাঁদের পরনেও মোটা গরম জামা। কখনও পাহাড়কে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে মানালি ব্রিজের উপর দিয়ে ছুটে চলেছেন পাহাড়ি ঝর্নার মতোই। খোলা চুল অবাধ্যতা করে মাঝেমধ্যেই মুখ ঢেকেছে তাঁর। মানালির মোটে ভ্রূক্ষেপ নেই! এই মেয়েই বাবার পাশে পোজ দিয়েছেন আদুরে মেয়ের। বাবার গা ঘেঁষে। সব মিলিয়ে হানিমুন জমজমাট তারকা দম্পতির।
আরও পড়ুন: শ্যুটিং থেকে ফিরেই ‘আত্মঘাতী’, বিয়ের কয়েক মাস আগে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে রহস্য
আইবুড়োভাত থেকে গায়ে হলুদ... বিয়ের যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠানকে দূরে সরিয়ে, করোনা আবহে শুধুই মালাবদল ও সিঁদুরদানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে সেরেছেন মানালি-অভিমন্যু। শাশুড়ির কাছ থেকে উপহার পাওয়া গোলাপি শাড়ি পরে কনের সাজে সন্ধ্যাবেলা অভিমন্যুর বাড়ি পৌঁছন অভিনেত্রী। দু’টি পরিবারের সদস্য ও বিশেষ কয়েক জন বন্ধুর উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে স্বভাবসুলভ হাসিমুখে ফোনে মানালি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের প্রকোপ না হলে বিয়েটা আরও বড় করে হত। গত ১৫ অগস্ট রেজিস্ট্রির দিন অভিমন্যুর মা কলকাতায় ছিলেন না। উনি ফিরতেই তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে নিতে হল।’’ অভিমন্যু জুড়ে দেন, ‘‘আজকের দিনটা সত্যিই আনন্দের। এখন বিয়ে করার কারণ একটাই, অনেকটা সময় দিতে পারব পরিবারকে।’’