সন্ন্যাসের গ্রহণের পর ফের সিনেমায় ফিরবেন মমতা! ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার মহাকুম্ভে সন্ন্যাস নিলেন ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। বদলে গিয়েছে তাঁর নাম। মমতা কুলকার্নি থেকে তিনি হয়েছেন— শ্রী মাই মমতা নন্দ গিরি। সন্ন্যাস গ্রহণের সময় তাঁর চোখ ভিজেছিলে জলে। ওই মুহূর্তটা তাঁর কাছে নাকি অলিম্পিকে পদক জেতার সমান। সন্ন্যাস নিয়েছেন, আর কি কখনও রুপোলি পর্দায় মুখ দেখাবেন মমতা?
গেরুয়া বস্ত্র, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, এলোকেশ, কপালে তিলক। এই ভাবেই বসেছিলেন তিনি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে। মন্ত্রপাঠের সঙ্গে চলছিল সন্ন্যাসধারণের প্রক্রিয়া। মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। পিণ্ডদানের রীতিও পালন করেন। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় তাঁর এই ভিডিয়ো। এ দিন কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর, অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় অম্বানন্দ গিরির সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। সে সব মুহূর্তের টুকরো ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এত কিছুর পর কি সিনেমায় মুখ দেখাবেন ফের! মমতা বলেন, “দীর্ঘ ২৩ বছর আমি ধর্মের পথে আছি। এর পর আমি কল্পনাও করতে পারি না সিনেমা করার কথা। অসম্ভব আমার পক্ষে। আমি কিন্নর আখাড়া বেছে নিয়েছি কারণ এখানে কোনও বাধানিষেধ নেই। রয়েছে অবাধ স্বধীনতা।” যদিও শেষে মমতার সংযোজন, “জীবনে আসলে সব কিছুর প্রয়োজন আছে, বিনোদনেরও দরকার। জীবন চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা চিহ্ণিত করতে হবে। জীবনে আপনি বাকি সব কিছু পেতে পারেন কিন্তু আধ্যাত্মিকতার জন্য প্রয়োজন ভাগ্যের। গৌতম বুদ্ধও জীবন অনেক কিছু দেখে তার পর সেটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেনে।” এ বার কি সেই পথে হাঁটছেন মমতা!