১৯৭৯ সালে থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু করেন মামুক্কোয়া, তার পর কাজ করেন পর্দায়। —ফাইল চিত্র
ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হল জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা মামুক্কোয়ার। বুধবার ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি, বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
চার দশকের অভিনয় জীবনে ৪৫০টি সিনেমায় দেখা গিয়েছে মামুক্কোয়াকে। সাদামাঠা চেহারার সুবাদে সব ছবিতেই সাধারণ মানুষের ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি। মালাবারি উপভাষার সংলাপে দর্শকের মন জয় করেছেন অভিনেতা, সেই সঙ্গে চলচ্চিত্র জগৎকে উপহার দিয়েছেন তাঁর তীব্র রসবোধ। মঙ্গলবার খেলার মাঠেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান অভিনেতা। দরদর করে ঘামছিলেন মামুক্কোয়া, তাঁর বুকে কষ্ট হচ্ছিল বলে জানা যায়। তখনও অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কেরলেরই আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল অভিনেতার। ভেন্টিলেশনে দেওয়ার পরও একে একে বিকল হয়ে যায় তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। হাসপাতালেই প্রয়াত হন মামুক্কোয়া।
১৯৭৯ সালে থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু করেন মামুক্কোয়া। তার পর কাজ করেন পর্দায়। দক্ষিণী তারকা মামুত্তি, জয়রাম এবং মোহনলালের সঙ্গে পর্দায় অভিনয় করেছেন তিনি। মালয়ালাম কমেডিতে তিনি ছিলেন বহুল পরিচিত মুখ। কমেডি দুনিয়ায় বিষাদ এনে দিয়েছে মামুক্কোয়ার মৃত্যু। ‘হিজ় হাইনেস আবদুল্লাহ’, ‘রামজি রাও স্পিকিং’ এবং ‘সন্দেশম’-এর মতো ব্লকবাস্টারে মোহনলাল, শ্রীনিবাসন এবং জয়রামের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে তাঁর মধুর রসায়ন দর্শকের স্মৃতিতে রঙিন হয়ে থেকে যাবে। বেশির ভাগ ছবিতে চায়ের দোকানদার হিসাবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে সেই চরিত্রেও তাঁর সংলাপ বলার ধরন ছবিগুলিকে বিশেষ মাত্রা দিয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ হয়েও কী ভাবে অসাধারণ হয়ে উঠতে হয়, দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন সদাহাস্যময় মামুক্কোয়া।