মালাইকার নামে কেন নালিশ আসত? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স কেবল সংখ্যা মাত্র। মালাইকা অরোরা সম্ভবত এই প্রবাদের সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তাঁর ক্ষেত্রে বয়স যেন পিছনের দিকে হাঁটে। ৫০ বছর বয়সেও যে সৌন্দর্যে কোনও ভাটা পড়ে না, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন মালাইকা। শরীরচর্চা, কঠিন ডায়েটে লাবণ্য ও লাস্য ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। অল্প বয়স থেকেই সৌন্দর্যের পূজারী অভিনেত্রী। এর জন্য নাকি বেশ সমস্যাও পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
এক সময় কলেজ থেকে একের পর এক নালিশ আসত মালাইকার নামে। ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মডেল তথা অভিনেত্রীর মা। মুম্বইয়ের জয় হিন্দ কলেজে পড়তেন মালাইকা। কিন্তু তিনি নাকি কলেজই যেতেন না। কলেজে যথেষ্ট উপস্থিতি না থাকায় ফোন আসত তাঁর মায়ের কাছে। সম্প্রতি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মালাইকা।
কলেজে পড়তে পড়তেই মডেলিং শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। তাই পড়াশোনা ও মডেলিং একসঙ্গে বজায় রাখা কঠিন হয়ে উঠেছিল তাঁর কাছে। ফলস্বরূপ অধিকাংশ দিনই কলেজে অনুপস্থিত থাকতেন তিনি। তিনি বলেছেন, “পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে উঠেছিল আমার জন্য। কারণ, মায়ের কাছে কলেজ থেকে বার বার ফোন আসত। আমি বেশির ভাগ দিনই কলেজে গিয়ে উঠতে পারতাম না। এই নিয়েই মায়ের কাছে নালিশ আসত।”
বিজ্ঞাপনী চিত্র থেকে মডেলিংয়ের কাজ শুরু করেছিলেন মালাইকা। বার বার কলেজ থেকে নালিশ আসতে থাকায় মাকে সত্যি কথা বলতে বাধ্য হন অভিনেত্রী। তিনি জাানান, মডেলিংই মন দিয়ে করতে চান তিনি। এটাই তাঁর স্বপ্ন। সাক্ষাৎকারে মালাইকাকে প্রশ্ন করা হয়, সেই সময় স্বাধীনতা না কি খ্যাতি— কোন দিকে ছুটছিলেন তিনি? উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানান, স্বাধীনতাই চাইতেন তিনি।
১১ বছর বয়সে মালাইকার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই একাকী মায়ের পাশে দাঁড়ানো ও দায়িত্ব নেওয়াও তাঁর লক্ষ্য ছিল সেই সময়ে।