মালাইকা আরোরা। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি বাড়ির ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মালাইকা আরোরার বাবা। অভিনেত্রীর এমন কঠিন সময়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাশে ছিলেন অর্জুন কপূর। যদিও বলিপাড়ায় গুঞ্জন, ছয় বছর সম্পর্কে থাকার পর ফাটল ধরেছে তাঁদের প্রেমে। একই সঙ্গে জীবনে দুটি অঘটন, বলা ভাল স্বাভাবিক জীবনে যেন আচমকাই ছন্দপতন হল মালাইকার। যদিও বিচ্ছেদ নিয়ে কখনওই প্রকাশ্যে একটি বাক্যও খরচ করেননি দু’জনের কেউ। যদিও মালাইকার দুঃসময়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাশে ছিলেন অর্জুন। ব্যক্তিগত সমীকরণকে সেই সময় তাঁরা প্রাধান্য না দিয়ে কঠিন সময়টা পার করেন। একই সঙ্গে জোড়া বিচ্ছেদকে সামাল দিচ্ছেন কী ভাবে?
মালাইকা ও অর্জুনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সম্পর্ক ভাঙলেও, নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় রাখবেন এই তারকা জুটি। সেই সূত্রের কথায়, ‘‘ওঁদের মধ্যে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা স্থায়ী হল না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওঁদের মধ্যে কোনও তিক্ততা তৈরি হয়েছে। ওঁরা সব সময় পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেছেন এবং সব সময় পাশে থেকেছেন। সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয়টিকেই ওঁরা সব সময় অগ্রাধিকার দিয়েছেন।’’ তবু হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণা যে রয়েই যায়। কিন্তু জীবন এগিয়ে চলে তার গতিতে। মালাইকাকে তাঁর জীবনের কঠিন সময়ে শক্তি দেয় তাঁর পরিবার এবং রয়েছেন তাঁর বান্ধবীরা। সেই দলে রয়েছেন করিশ্মা কপূর, করিনা কপূর, অমৃতা আরোরা। মালাইকা বলেন, ‘‘আমার বন্ধুদের ছাড়া আমি কিচ্ছু না। ওরা আমার খেয়াল রাখে, আমার ভালমন্দ সব কিছুতে সর্ব ক্ষণ পাশে রয়েছে। ওদের জন্য মাটির কাছাকাছি থাকতে পারি। ওরা সব কিছু আমার জন্য।’’ এ ছাড়াও অভিনেত্রী তাঁর পরিবার ও আশেপাশের মানুষজনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ, তাঁরাই তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা। তবে জীবনে শক্তি পান তাঁর অন্তরাত্মা থেকেই।