সোহিনী সরকার, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও পার্নো মিত্র
বছরের প্রথম বাংলা হিট তাঁর হাত দিয়েই বেরিয়েছে। ‘বিবাহ ডায়েরিজ’ সফল হওয়ার পর বেশ খোশমেজাজে মৈনাক ভৌমিক। খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় ছবির পরিচালনাতেও হাত দিতে চলেছেন।
হ্যাপিনেস পিল আবিষ্কার করেছেন মৈনাক! সেটা খেলে দুঃখ ঘুচে যাবে। কিন্তু হঠাৎ সুখী থাকার চাবিকাঠি কেন? ‘‘আশপাশটা দেখলে মনে হয়, কেউ ভাল নেই। ইনস্টাগ্রামে হাসিমুখে ছবি দিচ্ছে বটে, কিন্তু সেখানে দেখনদারিটাই বেশি,’’ জবাব মৈনাকের।
প্রধান চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবিতে নাম সিদ্ধার্থ। পরিবারে আর্থিক কষ্ট। তাই মেডিক্যাল কলেজের মেধাবী ছাত্রকে মাঝপথেই পড়াশোনা ছাড়তে হয়। নিজের সমস্যার মাঝেও সিদ্ধার্থ বুঝতে পারে, আশপাশের কোনও লোকজনই ভাল নেই। নিজের জ্ঞানগম্যি দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সুখী থাকার ওষুধ আবিষ্কার করে সে। খানিকটা স্যাটায়ার, খানিকটা থ্রিলারের মোড়কে ‘হ্যাপি পিল’ ছবির গল্প ফেঁদেছেন মৈনাক।
তাঁর নিজেরও কি কখনও হ্যাপি পিলের প্রয়োজন পড়েছে? একটা সময় মৈনাককে টলিউ়়ডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে গণ্য করা হতো। কিন্তু পরপর ফ্লপ সেই জায়গাটা থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল। সৃ়জিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হয়। ‘বিবাহ ডায়েরিজ’ হিটের পর মৈনাক এখন অনেকটাই স্বস্তিতে। সমালোচকদের ঠুকে বললেন, ‘‘আমার হ্যাপি পিল দরকার পড়েনি। কিন্তু যাঁরা এক সময় আমার ছবি অচল বলেছে, তাঁদের হয়তো পড়বে। ‘বিবাহ ডায়রিজ’ কিন্তু একেবারে দর্শকের মুখে প্রচার পেয়েই হিট হয়েছে। আমাকে ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রচার করতে হয়নি।’’
‘বিবাহ ডায়েরিজ’ ছবির মতো ঋত্বিকের সঙ্গে সোহিনী সরকার এখানেও আছেন। তিনি সাংবাদিকের চরিত্রে। ঋত্বিকের বোনের চরিত্র করছেন পার্নো মিত্র। রজতাভ দত্ত এবং সৌমজিৎ মজুমদারেরও কাজ করার কথা। মে মাস নাগাদ ছবির শ্যুটিং শুরু করার পরিকল্পনা মৈনাকের।