সলমন খানকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। — ফাইল ছবি।
লরেন্স বিষ্ণোই জেলে। তবু আর ঝুঁকি নিতে চায়নি মহারাষ্ট্র সরকার। সিধু মুসেওয়ালার খুনের পর সলমন খানকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ বার থেকে শেরার সঙ্গেই সলমনের সঙ্গে রাত-দিন থাকবেন কমান্ডো-সহ ১২ জন পুলিশকর্মী। এত দিন সলমনকে এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিত মহারাষ্ট্র সরকার। এ বার তার পরিধি আরও বাড়ানো হল। পাশাপাশি, অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং অনুপম খেরকে এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকার।
গত মে মাসে খুন হন সিধু মুসে ওয়ালা। তার পর জুলাইয়ে হুমকি চিঠি পান সলমনের বাবা সেলিম খান। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিশ্রামের জন্য একটি চেয়ারে বসেছিলেন। সেখানেই পান হুমকি দেওয়া চিরকুট। সেখানে লেখা, ‘‘সিধু মুসে ওয়ালার সঙ্গে যা করেছি, সেলিম খান এবং সলমন খান, খুব শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গেও তা-ই করব।’’ চিঠির নীচে লেখা ছিল এলবি (লরেন্স বিষ্ণোই) এবং জিবি (গোল্ডি ব্রার)। লরেন্সের কানাডার সহযোগী এই গোল্ডি।
গত মাসে দিল্লি পুলিশও দাবি করেছিল, সলমনের খামারবাড়ির কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন লরেন্সের দলের সদস্যরা। ওই কর্মীদের থেকে সলমনের রোজনামচা জানতে চাইছিলেন তাঁরা। যদিও লরেন্স সাফ জানিয়েছেন, সলমনকে কোনও হুমকি তিনি বা তাঁর দল দেয়নি। সিধু হত্যাকাণ্ডে জোধপুর আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় তিনি জানান, কৃষ্ণসারকে পুজো করে বিষ্ণোইরা। সেই কৃষ্ণসার শিকার করে গোটা বিষ্ণোইদের আঘাত করেছেন সলমন। প্রসঙ্গত, এই কৃষ্ণসার শিকার মামলায় আগেই বেকসুর খালাস পেয়েছেন সেলিম-পুত্র। মামলা চলাকালীনও তাঁকে বিষ্ণোই গোষ্ঠী হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি বিচার করে এ বার তাই সলমনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এত দিন সেই ভার সামলাতেন নায়কের ব্যক্তিগত রক্ষী গুরমিত সিংহ ওরফে শেরা। সলমনের মতো তিনিও পরিচিত নাম বলিউডে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে পঞ্জাবের মানসা গ্রামে গুলিবিদ্ধ হন গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন লরেন্স। আগেই সিধুকে হুমকি দিয়েছিল লরেন্স গোষ্ঠী। কিন্তু সে সবে গুরুত্ব না দিয়ে পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসে সিধুর নিরাপত্তা কমিয়ে দেয় আপ সরকার। তার পরেই খুন হন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।