‘কুসুমদোলা’ ধারাবাহিকের দৃশ্যে মধুমিতা।
গত শনিবার সকালে শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝপথে খবর পেলাম শুটিং হবে না। শুটিং বন্ধ। আজ সোমবার। আজও একই পরিস্থিতি। টানা তিন দিন ধরে ধর্মঘট চলছে স্টুডিও পাড়ায়।
আমাদের প্রতি রাতে ফোন করে পরের দিনের কলটাইম দেওয়া হয়। কাল রাতেও প্রোডাকশন থেকে তেমন কোনও ফোন আমি পাইনি। আমি যে ধারাবাহিকে এখন অভিনয় করছি সেটা হয়তো এই সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে। তবে লাস্ট কী লাইন আপ রয়েছে তা জানি না। আর আজ টেলিকাস্টের পর আদৌ ব্যাঙ্কিং রয়েছে কিনা, সেটাও বলতে পারব না।
এই ধর্মঘটে টেকনিশিয়ানদের দিক থেকে যে সব কারণ রয়েছে অ্যাজ অ্যান আর্টিস্ট আমি সেটা সাপোর্ট করি। আফটার অল সকলের কাছেই দিনের শেষে টাকাটা ম্যাটার করে। তার পর তো শিল্পের জায়গাটা আমরা ফ্লোরে গিয়ে পূরণ করি।আমি চ্যানেলের কনট্র্যাক্টে আছি। মাসের প্রথমেই আমার পেমেন্ট হয়ে যায়। ফলে এই অসুবিধেটাআমার হয় না। কিন্তু আমাদের সঙ্গেই কাজ করছেন, এমন অনেকেই এই সমস্যায় পড়েছেন। সত্যিই তো, তাঁদের চলবে কী করে? টেলিভিশনে কাজের সময়টা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা উচিত।
আরও পড়ুন, বন্ধ হয়ে যেতে পারে ধারাবাহিকের সম্প্রচার? ধর্মঘটে উঠছে প্রশ্ন
যা চলছে সেটা কাম্য নয়। একটা মধ্যস্থতা তো করতে হবে। দ্রুত কাজে ফিরতে চাই আমরা সকলেই।
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্ল অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা - বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে। )