Madhabi Mukherjee on Anjana Bhowmick

আমি চিকেন স্যালাড খেতে ভালবাসতাম, আর অঞ্জনা আমার জন্য রোজ মনে করে কিনে আনত

তিনি অঞ্জনা ভৌমিককে ভীষণ ভালবাসতেন। যোগাযোগ কমে এসেছিল। কিন্তু ভালবাসা মরে যায়নি। সেটা তিনি বুঝতে পারতেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর আনন্দবাজার অনলাইনের জন্য কলম ধরলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

মাধবী মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪১
Share:

অঞ্জনা ভৌমিকের স্মৃতিচারণায় মাধবী মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অঞ্জনার চলে যাওয়ার খবরটা পেলাম। ভীষণ খারাপ লাগছে। অঞ্জনার সঙ্গে আমি ‘দিবারাত্রের কাব্য’ করেছিলাম। সেই সময় থেকেই আমাদের পরিচয়। ভীষণ মিষ্টি মেয়ে ছিল অঞ্জনা। খুবই ভাল। তখন সদ্য ওঁর বিয়ে হয়েছে। এই সিনেমায় আমরা আনন্দের সঙ্গে কাজ করেছিলাম। দু’জনে প্রচুর গল্প করতাম।

Advertisement

অ়ঞ্জনা সমুদ্রে ভয় পেত। অথচ ‘দিবারাত্রের কাব্য’-তে সমুদ্রে নামার একটি দৃশ্য ছিল ওঁর। এ দিকে অঞ্জনা তো কিছুতেই সমুদ্রে নামবে না। তখন আমরা হাত ধরে ওঁকে নিয়ে গেলাম সমুদ্রে ভয় কাটানোর জন্য। বড় ঢেউ আসছে দেখলেই পালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি ওঁর হাত চেপে ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের প্রযোজক সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে ফেলেছিল। কিন্তু অঞ্জনা একদম ঠিক ছিল।

তার পর তো অঞ্জনা মুম্বই চলে গেল। পরে অবশ্য আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করেছিলাম হীরেন নাগের ‘থানা থেকে আসছি’ ছবিতে। আমাকে ভীষণ ভালবাসত। আমিও অঞ্জনাকে ভীষণ ভালবাসতাম। যোগাযোগ কমে এসেছিল। কিন্তু ভালবাসা মরে যায়নি। সেটা বুঝতে পারতাম। আমি চিকেন স্যালাড খেতে ভালবাসতাম। আর অঞ্জনা আমার জন্য প্রতি দিন সেটে ওই স্যালাডটা আনত মনে করে। অঞ্জনা চলে গেলে। ওঁকে তো আর ফিরে পাব না। খুবই খারাপ লাগছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement