কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র
মঙ্গলবার রিমঝিম মিত্রের বাড়িতে নিমন্ত্রণ মদন মিত্রের! আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রথম জানিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। এ দিনই পুরভোটের ফলপ্রকাশ। ফের কি দলবদলের ঘণ্টা বাজছে কোথাও? কামারহাটির বিধায়ক যদিও জানিয়েছেন, রিমঝিম এমনিই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাজনৈতিক গন্ধ এখানে না খোঁজাই ভাল। অভিনেত্রীর সঙ্গেও যোগযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি ‘দিদি নং ১’-এ দেখা গিয়েছে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে। বাংলা ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্মদিন তাঁর শুভেচ্ছায় রঙিন। চলতি বছর তিনি উৎসর্গ করেছেন ইমন চক্রবর্তীকে। শিল্পীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে তাঁর ঘোষণা, ২০২১-এ ইমনের গান ছাড়া আর কারও গান তিনি শুনবেন না। রাখী সবন্ত থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়— তাঁর উপস্থিতিতে সকলেই আপ্লুত। যে ভাবে টলিউডের আনাচেকানাচে ক্রমাগত তাঁর আনাগোনা বাড়ছে, তাতে লাখ টাকার প্রশ্ন সবার মনে— রাজনীতির পাশাপাশি এ বার কি অভিনয়েও আসতে চলেছেন মদন মিত্র?
আনন্দবাজার অনলাইন এই প্রশ্ন রেখেছিল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের কাছে। জবাবের শুরুতেই বিখ্যাত সংলাপ ‘ওহ! লাভলি’। সঙ্গে প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা, ‘‘দিদিদের আমি খুবই ভালবাসি। তাই দিদি নং ১-এ এসেছিলাম। সমস্ত দিদিদের দেখলাম। মনটা ভাল হয়ে গেল!’’ তার পরেই অকপট, বয়সে বড় ‘দিদি’-দের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ভালবাসেন তিনি। তাই ছোট থেকেই তিনি ‘দিদি’-দের আপনার জন।
তাঁকে তো ‘টনিক’-এর প্রচারেও দেখা গিয়েছে? মদনের দাবি, দেব তাঁর খুবই প্রিয়। ফোনে সাংসদ-তারকা অনুরোধ জানিয়েছিলেন, ‘‘দাদা, আমার ছবির প্রচার করে দেবে?’’ ভাইকে ফেরাতে পারেননি দাদা। ছবির প্রচারে কালোর উপরে সোনালি সুতোর জমাট কাজের পাঞ্জাবিতে উজ্জ্বল কামারহাটির বিধায়ক। ছবিরই একটি গানের দু’কলি শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। সঙ্গে অনুরোধ, ২০২০ ও ২০২১-এর জোড়া উদযাপন হবে এ বারের বড়দিনে। সবাইকে তাই উপস্থিত থাকতে হবে প্রেক্ষাগৃহে।
নতুন বছরে জোড়া জীবনীচিত্র তৈরির কথা মদন মিত্রকে নিয়ে। যদি অভিনয়ে আসেন তাতেই কি তাঁকে নিজের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে? বিধায়কের ফের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘‘দুটো জীবনীচিত্র তো হবে! কিন্তু নায়ক পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তার পরেই দাবি তাঁর, নিজের ভূমিকায় অভিনয় তিনি করবেন না। তবে খুব শিগগিরিই তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে আসছেন। যার সূচনা মডেলিং দিয়ে।
‘‘ফ্লিপকার্ট থেকে স্লিপ কার্ট- সবেতেই হয়তো দেখা যাবে আমায়। কথাবার্তা সে রকমই হয়েছে। আমি চাই, কম পয়সা ভাল জিনিস সাধারণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে। তাই এই পদক্ষেপ।’’ সেই ভাবনা থেকেই নাকি তিনি নুসরত জাহানের টক শো-তে অংশ নিয়েছিলেন। মদন মিত্রের যুক্তি, সমাজের কাছে ভাল-মন্দ তুলে ধরতে গেলে প্রয়োজনে আগ্রাসী হতে হয়। নুসরত সেটি পারেন বলেই তিনি তাঁর শো-তে গিয়েছিলেন তিনি।
তার পরেই রসিকতার ছলে বলেছেন, ‘‘দিদি-দের ভালবাসার নমুনা শুনবেন? একটি ফ্যাশন শো এবং মডেলিং প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক আমি। বিখ্যাত ডিজাইনার এবং রূপসজ্জা শিল্পী নিজে আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’’