১৯৬৬ সাল থেকে আজও একই রকম তাঁদের সম্পর্ক। দিলীপ কুমার-সায়রা বানু। বলিউডের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় তারকা দম্পতি। তাঁদের প্রেমের গল্প জানেন? কী ভাবে পরস্পরের কাছে এলেন তাঁরা?
‘গোপী’, ‘সাগিনা’, ‘বৈরাগ’-এ মতো বেশ কয়েকটি হিট ছবিও করেছেন তাঁরা। বিয়ের ৫২ বছর পেরিয়েও দু’জনের অফ-স্ক্রিন কেমিস্ট্রি কিন্তু জমজমাট।
সায়রার সঙ্গে দিলীপের বয়সের ফারাক প্রায় ২২ বছর। তাঁদের প্রেম একেবারে সিনেমার মতোই। সায়রা বানু নানা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ১২ বছর বয়স থেকে পর্দায় দিলীপ সাবের জন্য প্রেমে পাগল ছিলেন তিনি।
মুঘল ই আজম চলছিল মুম্বইয়ের মরাঠা মন্দিরে। সায়রা তখন ১৬। এক বার প্রিয় নায়ককে স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছিলেন প্রিমিয়ারে। কিন্তু প্রিয় নায়ক আসতেই পারেননি ব্যস্ততার কারণে।
ট্রাজেডি কিংয়ের সঙ্গে প্রথম দেখার সময় দিলীপ তাঁকে বলেছিলেন, সায়রা খুব সুন্দরী একটি মেয়ে। তখন নাকি সায়রার মনে হয়েছিল তাঁর চারপাশে প্রজাপতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিয়ের ৫১ বছর পর একটি সাক্ষাৎকারে লাজুক হেসে এমনটাই জানিয়েছিলেন সায়রা। মনে মনে ভাবতেন, দিলীপ তাঁর স্বামী হলে বেশ ভাল হত। কিন্তু তা কখনওই প্রকাশ করেননি।
সায়রার সঙ্গে দিলীপের বয়সের ফারাকের কারণেই প্রথমে মা নাসিম বানুর এই বিয়েতে আপত্তি ছিল। কিন্তু পরে সেই মা-ই সায়রার সঙ্গে দিলীপের বন্ধুত্বে সাহায্য করেন।
দিলীপ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সায়রার সঙ্গে দেখা হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই। অনেকেই তখন বলেছিলেন, বয়সের এতটা ফারাক। এই বিয়ে টেকার নয়।
১১ অক্টোবর বিয়ে করেন তাঁরা। ১৯৬৬ সালে। বিয়ের পরেও ১০ বছর চুটিয়ে অভিনয় করেছেন সায়রা।
তবে সম্পর্কের ওঠাপড়া তো থাকেই। বিয়ের আগে কামিনী কৌশল ও মধুবালার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল দিলীপ কুমারের। সায়রা বানুর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল রাজেন্দ্র প্রসাদের। কিন্তু সব কিছুই দূরে সরে যায় দিলীপ-সায়রার প্রেমের পর।
১৯৭৬ সালে স্বেচ্ছায় অভিনয় থেকে সরে আসেন তিনি। সম্পূর্ণ রূপে গৃহবধূ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর এক বার পাকিস্তানের এক তরুণীর সঙ্গে দিলীপ কুমারের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আসমা নামে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেন দিলীপ।
সায়রার কাছেই ফিরে আসেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার ওরফে ইউসুফ খান জানিয়েছিলেন, সায়রা ছাড়া আর কাউকে তিনি ভালবাসতেই পারবেন না। এখনও এই দম্পতি সুখে সংসার করছেন।
জন্মদিন থেকে বিবাহবার্ষিকী সবই এক সঙ্গে পালন করেন তাঁরা। দিলীপের অসুস্থতা নিয়ে চিন্তায় থাকেন সায়রা। স্বামীর ডায়েটও তিনিই ঠিক করেন দেন এখনও।