গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২০২৩ সালে বহু বাংলা গান তৈরি হয়েছে। তবে সব গানই যে ‘গান’ হয়ে উঠতে পেরেছে, তা নয়। আনন্দবাজার অনলাইন সেরা পাঁচটি গানের তালিকায় সেগুলিকেই বেছেছে, যে গানগুলির মধ্যে স্বকীয়তা রয়েছে, রয়েছে সুরের মৌলিকতা এবং যেগুলি সঙ্গীতশিল্পীর নিজের সৃষ্টি (লেখা, সুর এবং কণ্ঠ)।
১. আমি সেই মানুষটা আর নেই
ছবি: দশম অবতার
গায়ক: অনুপম রায়
এ বার পুজোয় মুক্তি পেয়েছিল ‘দশম অবতার’। এটি সৃজিত মুখোপাধ্যায়-অনুপম রায় জুটির দশম ছবি। এই ছবির ‘আমি সেই মানুষটা আর নেই’ গানটিই শ্রেষ্ঠ। অনুপমের লেখা ও সুর করা এই গানে দশ বছর আগের সুরকারের লেখনীর ছোঁয়া রয়েছে। ছবিতে গানটি চিত্রায়িত মূলত যিশু সেনগুপ্তের উপর। ছবির নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই লেখা হয়েছে এই গান। সহজ অথচ রূঢ় বাস্তবকে তুলে ধরেছেন অনুপম।
২. আসবে বলে
ওয়েব সিরিজ: নিখোঁজ
শিল্পী: রূপম ইসলাম
হইচইয়ের ‘নিখোঁজ’ সিরিজের এই গানের কথা-সুর রূপম ইসলামের। যে কথা আর সুরে রয়েছে রূপমের কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকের লেখনীর ছোঁয়া। এই সিরিজ মায়ের নিজের মেয়েকে খোঁজার কাহিনি। সেই দিক থেকে গানটি যথার্থ। রূপম গানটি গেয়েছেনও চমৎকার।
৩. সজনী
ছবি: দিলখুশ
শিল্পী: নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়
আদ্যোপান্ত প্রেমের ছবি। চার বিভিন্ন বয়সি যুগল ও তাঁদের প্রেমের অ্যাখ্যানের বর্ণনা ‘সজনী’ গানটি। শুনে মনে হয়, নতুন প্রজন্মের উপযোগী এই গান। গানটির কথা এবং সঙ্গীতায়োজনে নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রথম ছবি ছিল দেব অভিনীত ‘কিশমিশ’। সেই ছবির গানগুলির পর তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশা জন্মেছিল। সুরকার তাঁর দ্বিতীয় কাজে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন।
৪. দ্রৌপদী এনে দে
ছবি: বগলা মামা যুগ যুগ জিও
শিল্পী: ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত
দলবল নিয়ে গ্রামে নাটক মঞ্চস্থ করবেন বগলা মামা ওরফে খরাজ মুখোপাধ্যায়। মহাভারতের উপর নাটক, তবে দৌপ্রদীর নেই। বেজায় বিপদ। উপায় দেখতে না পেয়ে দৌপ্রদীর খোঁজে বেরোয় টিম বগলা মামা। গ্রামের রাস্তা, বাজার, পাড়ার রোয়াক বাদ পড়ে না কিছুই। কিন্তু দৌপ্রদীকে খুঁজে পাওয়া কি অত সহজ! ছবিতে এমনই এক দৃশ্যায়নে রয়েছে এই গান। খানিক প্যারডির স্টাইলে গানটি গেয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। মূলত সুরকার হিসেবেই তাঁর নামডাক টলিপাড়ায়। তবে এই ছবিতে গায়ক হিসেবেও মন জয় করেছেন ইন্দ্রদীপ।
৫. গোবিন্দ দাঁত মাজে না
ছবি: রক্তবীজ
শিল্পী: সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়
বাংলায় আইটেম নম্বর। তা-ও আবার কোনও সুন্দরী অভিনেত্রী নন, নাচছেন অভিনেতা। সেখানেই আলাদা ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’। সুরজিতের কণ্ঠের সঙ্গে পর্দায় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার অনন্য যুগলবন্দি গানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। সহজ-সরল লিরিক। বাহাদুরির কোনও চেষ্টা নেই। ফলে সহজেই এই গান মনে থেকে যায়। এবং গানের তালে তাল মিলিয়ে অনায়াসেই মাতিয়ে দেওয়া যায় ডিস্কোথেক থেকে যে কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠান।