মুনাওয়ার ফারুকি এবং পায়েল রোহতগি। ফাইল চিত্র।
কখনও হাউহাউ কান্না, কখনও গালিবর্ষণ। একে একে অতীতের অন্ধকার অধ্যায়গুলো উপড়ে এনে জড়ো করেছেন প্রতিযোগীরা। কঙ্গনা রানাউতের ‘লক আপ’-এ গোপনতম কথাটি ফাঁস করে নিশ্চিত করেছেন নিজেদের উপস্থিতির মেয়াদ। আর যাঁরা দর্শকের মন জয় করতে পারেননি, ভোট না পেয়ে আগেই খেলা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। তার ফাঁকেই গল্প, আড্ডা, বিস্ফোরক তথ্য আদানপ্রদান।
সব মিলিয়ে বেশ হইহই করেই শেষ হল কঙ্গনা সঞ্চালিত বিতর্কিত রিয়্যালিটি শোয়ের প্রথম সিজন। ৭২ দিন পর জেলখানার দরজা খুলে গেল। ছাড়া পেলেন স্বেচ্ছাবন্দিরা। কে হলেন সেরা কয়েদি?
চূড়ান্ত লড়াইটা ছিল টানটান।এক দিকে মন্দনা করিমি, পায়েল রোহতগির মতো অনর্গল চমকে দেওয়া তারকা, অন্য দিকে কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকি। তবে যন্ত্রণা উজাড় করার মঞ্চে জিতল কৌতুকই। টানা ৭২ দিনের কয়েদি-জীবন কাটিয়ে নগদ ২০ লক্ষ টাকা এবং একটি নতুন গাড়ি নিয়ে ফিরলেন মুনাওয়ার ফারুকি। পেলেন রাজকীয় বিদায়। তা নিয়ে যারপরনাই খুশি মুনাওয়ার। ভাবতেই পারেননি, শেষমেশ জিতবেন। তবে এ-ও ভাবছিলেন যে আর কে-ই বা জিতবেন! পায়েল রোহতগি? না না হতেই পারে না!
তাই বিজেতা ঘোষণা করার আগের মুহূর্তগুলো খুব নার্ভাস ছিলেন বলে জানান মুনাওয়ার। বললেন, “আর যা-ই হোক, পায়েল রোহতগির কাছে হারতে চাইনি। ওঁকে ঠিক বিজয়ী বলে ভাবতেও পারছিলাম না। তবে এখন আমি খুব খুশি। সমস্ত দর্শককে কী বলে ধন্যবাদ দেব, বুঝতে পারছি না।” সেই সঙ্গে কৌতুকশিল্পী জানান, এ তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফসল এবং ভক্তদের আশীর্বাদ। না হলে জিততে পারতেন না।
মুনাওয়ার অবশ্য পায়েলকে ছোট করতে চাননি। তাঁর দাবি, “বিজেতা তাঁরই হওয়া উচিত, যিনি বাইরে গিয়ে সেই মতো দায়িত্ব সামলাতে পারেন। পায়েল তেমনটা কি না, তা বিচার করার আমি কেউ নই। তবে আমি মনে করি সমাজকে আমি বিনোদনের মারফত যে আনন্দ দিই, তা আমার সহ-প্রতিযোগী পায়েলের অবদানের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানের।”
পুরস্কারের টাকা কী ভাবে ব্যবহার করবেন? মুনাওয়ার বলেন, “খেলার পঞ্চম সপ্তাহেই ভেবেছিলাম, জিতলে গাড়ি কিনব। কিন্তু উদ্যোক্তারা নিজেরাই যখন একটি গাড়ি দিলেন, পরিকল্পনা বদলালাম।” হাসতে হাসতে কৌতুকশিল্পী বলেন, পুরস্কারের অর্থ তিনি কোনও ভাল কাজেই ব্যয় করবেন।