লরেন্স বিষ্ণোই। ফাইল চিত্র।
গত চার বছরে বহুবার অভিনেতা সলমন খানকে খুনের চেষ্টা করেছিল সিধু মুসে ওয়ালা খুনে অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই। গত তিন মাসেও দু’বার তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্যরা। অভিনেতার গতিবিধির উপরে সব সময়ে ছিল তাদের নজর। ঠিক কী ছিল তাদের পরিকল্পনা, জানা গিয়েছে পুলিশের তদন্তে।
পঞ্জাব পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২০১৮ সালে বিষ্ণোইয়ের দল একটি পরিকল্পনা করে সলমনকে খুন করার। সেটি বিফল হওয়ায় নতুন এক পরিকল্পনা করে তারা। নাম দেওয়া হয়, ‘প্ল্যান বি’। এই পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিল বিষ্ণোইয়ের দলের অন্যতম সদস্য কপিল পণ্ডিত।
মুম্বইয়ের পানভেলের কাছে একটি ফার্মহাউসে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল কপিল ও তার দুই সহকারী সন্তোষ যাদব ও সচিন বিষ্ণোই। সেই ফার্মহাউসের খুব কাছেই ছিল অভিনেতার নিজের ফার্মহাউস। টানা এক মাস সেখানে থেকে তারা ঠিক করেছিল, কী ভাবে সলমনের ফার্মহাউসে তাঁর উপর হামলা করা যায়।
খোঁজ চালিয়ে তারা আরও জনতে পারে, যখন সলমন তাঁর ফার্মহাউসে থাকতে যেতেন, তখন শুধু শেরা নামে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকত তাঁর সঙ্গে। কম নিরাপত্তা থাকলে হামলা করতে সুবিধে হয়, এমনটাই মনে করত কপিলরা। ফার্মহাউসের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দেখা করে, বন্ধুত্ব পাতিয়ে, তাঁর ব্যক্তিগত সময়ের কথাও জানার চেষ্টা করেছিল বিষ্ণোইয়ের দল। সকলের কাছে সব সময় থাকত ছোট বন্দুক ও আরও কিছু অস্ত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গিয়েছে, অভিনেতা কত গতিতে গাড়ি চালাতেন, তাও জানত কপিল ও তার সহকারীরা। যে রাস্তা দিয়ে সলমন যাওয়া আসা করতেন, তার গর্তের সংখ্যা হিসাব করেছিল হামলাকারীরা। তার থেকে তারা আন্দাজ করে, ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে সলমনের গাড়ি চালানো হত।
কিন্তু এত পরিকল্পনা করেও শেষ রক্ষা হয়নি বিষ্ণোইয়ের দলের। এপ্রিল মাস থেকে দু’বার অভিনেতা তাঁর ফার্মহাউসে এলেও তাঁকে হত্যা করতে পারেনি অভিযুক্তরা। বিফলই থেকে গিয়েছে তাদের ‘প্ল্যান বি’।