‘জো ডর গয়া সমঝো উয়ো মর গয়া’। ‘শোলে’ ছবিতে ‘গব্বর’ আমজাদ খানের বিখ্যাত ডায়ালগ। বলিউডে এমন বেশ কয়েকজন অভিনেতা রয়েছেন যাঁরা ‘ভিলেন’ হিসেবেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ইন্ডাস্ট্রির হিরো-হিরোইনদের সন্তানরা সবসময়ই মিডিয়ার লাইমলাইটে। কিন্তু ‘ভিলেন’দের সন্তানরা? আমজাদ খান, শক্তি কপূর, ম্যাক মোহনের সন্তানদের চেনেন? গ্যালারির পাতায় এক ঝলকে বলিউডের ‘ভিলেন’ স্টারকিডরা।
মোহন মাকিজানি। বলিউডে যিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ম্যাক মোহন নামে। ক্রিকেটার হতে মুম্বই এসেছিলেন মোহন। ‘শোলে’ ছবিতে ‘সাম্বা’র চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন তিনি। বহু ছবিতে তাঁকে ‘ম্যাক’ নামের চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। মোহন মাকিজানির ছেলে বিক্রান্ত মাকিজানিও এক জন অভিনেতা। ২০১১ সালে ‘দ্য লাস্ট মার্বেল’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিক্রান্ত। রবিনা টন্ডনের তুতো ভাই হন তিনি।
বলিউডের পুরনো ছবির এক জন সেরা স্টান্টম্যান। নাম এম বি শেট্টি। শুধু স্টান্টম্যানই না, এক জন অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার এবং দক্ষ অভিনেতাও তিনি।বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক রোহিত শেট্টি কিন্তু তাঁরই ছেলে। অ্যাকশন ও স্টান্ট ভরপুর ছবি তৈরির অনুপ্রেরণা বাবার কাছ থেকেই পেয়েছেন তিনি। ‘গোলমাল’ সিরিজ ও ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন রোহিত।
‘গব্বর’ ছাড়া ‘শোলে’ ছবিটা ভাবতে পারেন? আমজাদ খানের মতো ‘ভিলেন’ বলিউডে খুব কমই এসেছেন। ‘গব্বর’ বলিউড ছবির ইতিহাসে একটি নজির। তাঁর ছেলে শাদাব খানও এক জন অভিনেতা। রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবিতে বলিউড অভিষেক করেছিলেন তিনি। এর পর ‘হাইওয়ে ২০৩’, ‘বেতাবি’ ও ‘রিফিউজি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন।
অভিনেতা দালিপ তাহিলও বলিউডে ‘ভিলেন’ হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। ‘ইশক’, ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’র মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর ছেলে ধ্রুব এক জন বিখ্যাত মডেল। থাকেন লন্ডনে।
কবীর বেদীকে বলিউডের সবেচেয়ে ‘হ্যান্ডসাম’ ভিলেন বললে বোধ হয় ভুল হবে না। কবীর বেদীর ছেলে অ্যাডাম বেদীও এক জন বিখ্যাত সুপারমডেল। যদিও কাজের সূত্রে বেশির ভাগ সময়ই দেশের বাইরে থাকেন তিনি। ২০০৬ সালে ‘হ্যালো? কওন হ্যায়’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অ্যাডাম। ওই ছবিতে কাজ করেছিলেন রাজেশ খন্নাও।
শক্তি কপূরের ছেলে ও মেয়ে দু’জনেই অভিনেতা। ‘ভিলেন’-এর পাশাপাশি এক জন কমেডিয়ানের চরিত্রেও দাপিয়ে অভিনয় করেছেন শক্তি কপূর। তাঁর ছেলে সিদ্ধান্ত কপূর এক জন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ‘শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা’ ছবিতে অভিনেতা হিসাবে বলি অভিষেক হয়েছে তাঁর। শেষ তাঁকে ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিতে দেখা গিয়েছে। ওই ছবিতে তাঁর বোন শ্রদ্ধাও অভিনয় করেছেন।