কেউ পুলিশের দাপুটে কর্তা, কেউ বা আবার ছাপোষা সংসারী। টেলিভিশনের সৌজন্যে ঘরে ঘরে এঁদের অনায়াস যাতায়াত। জনপ্রিয়তায় ফিল্মস্টারদের থেকে কোনও অংশে কম যান না এঁরা কেউই। টেলিভিশনে মুখ দেখানোর আগে এঁরা কী কাজ করতেন, জানেন?
ছোটপর্দায় এক সময় বেশ পরিচিত নাম ছিলেন আমির আলি। এখন তাঁকে তেমন ভাবে চোখে না পড়লেও চকোলেট বয় ইমেজের জন্য বেশ পপুলার ছিলেন তিনি। একতা কপূরের ‘ঘর ঘর কি কহানি’তে আমিরের অভিনীত সমীর কলকে এখনও অনেকে মনে করেন। তবে টেলি-সিরিয়াল করার আগে বিমানকর্মী হিসাবে কাজ করতেন আমির।
ডেবিউ সিরিয়ালেই মাত করেছিলেন হর্ষদ অরোরা। ‘বেইন্তেহা’-তে জেন আবদুল্লার চরিত্রে হর্ষদকে দর্শকরাও আপন করে নিয়েছিলেন। অভিনয়ে পা রাখার আগে জনসংযোগ আধিকারিক হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
টেলি-মহলের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী। দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও মন জয় করেছেন তিনি। তাই দিব্যাঙ্কাকে হামেশাই দেখা যায় অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলতে। টেলিভিশনে মুখ দেখানোর আগে ভোপালের রাইফেল অ্যাকাডেমিতে দেখা যেত তাঁকে। সেখানেই রাইফেল চালানো শিখতেন দিব্যাঙ্কা। শুটিংয়ে সোনার পদকও রয়েছে তাঁর।
ডেইলি সোপ ‘ইয়ে রিস্তা ক্যায়া ক্যাহলাতা হ্যায়’-এ নৈতিকের চরিত্রে সাড়া জাগিয়েছিলেন কর্ণ মেহরা। টেলিভিশনে এক সময় কর্ণের ফ্যামিলি ম্যান ইমেজটা বেশ উপভোগ করতেন দর্শক। অভিনয়ের আগে কর্ণর মন ছিল ফ্যাশন ডিজাইন-এ।
শিবাজি শতমের নামটা চেনা চেনা লাগছে? অনেকেই মাথা নেড়ে ‘না’ বলবেন। এসিপি প্রদ্যুম্ন নামটা শুনেছেন? এ বার নিশ্চয়ই মনে পড়েছে, এসিপি প্রদ্যুম্নই আসলে শিবাজি। ওই সিরিয়ালের জন্য জনপ্রিয়তার জন্য সিংহভাগই দাবি করতে পারেন তিনি। তবে ‘এসিপি’ হওয়ার আগে ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল শর্মা’র সৌজন্যে সুনীল গ্রোভারকে একডাকে অনেকেই চেনেন। তবে কমেডিয়ান হিসাবে তাঁর নামডাক হওয়ার আগে রেডিয়ো জকি হিসাবে শ্রোতাদের মাতাতেন সুনীল।