বাহুবলী নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। ব্লকবাস্টার এই ছবির প্রতিটা চরিত্র যেন মনে গেঁথে গিয়েছে। প্রভাস থেকে অনুষ্কা, রানা ডগ্গুবতী থেকে রাময়া— অভিনয় পারদর্শীতায় মুগ্ধ করেছেন সকলেই। কিন্তু জানেন কি এই সমস্ত চরিত্রগুলো করতে পারতেন অন্য কেউ! জেনে নিন কোন কোন জনপ্রিয় অভিনেতা বাহুবলী ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ হারিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছেন
দেবসেনা: তামিল অভিনেত্রী নয়নতারা। ২০০৩-এ মালয়ালম ছবি দিয়ে অভিনয় শুরু তাঁর। দক্ষিণী ছবির এই হিরোইন এক লহমায় সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ হারিয়েছেন পরিচালক রাজামৌলিকে প্রত্যাখ্যান করে। বাহুবলীর অন্যতম মুখ্য চরিত্র দেবসেনা-র জন্য প্রথমে তাঁকেই স্থির করেছিলেন পরিচালক। ছবিতে দেবসেনার ভূমিকায় অভিনয় করেন অনুষ্কা শেট্টি।
অবন্তিকা: মহেন্দ্র বাহুবলীর প্রেমিকা অবন্তিকার ভূমিকায় কার অভিনয় করার কথা ছিল জানেন? সকলের কাছেই খুব জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনম কপূরের। কিন্তু পরিচালকের শর্ত মানতে সোনম রাজি হননি। এই ছবির জন্য তাঁকে ২ বছর লক-ইন পিরিয়ডে থাকতে হত। নিজের কেরিয়ারের কথা ভেবেই এই শর্ত মানেননি সোনম। এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন নিজের অজান্তেই কেরিয়ারের কত বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন! ছবিতে অবন্তিকায় ভূমিকায় রয়েছেন তামান্না।
কাটাপ্পা: এক গাল সাদা দাড়ি। ভয়ঙ্কর যোদ্ধা। বাহুবলী ছবির কথা ভাবলেই যে দু’টো নাম প্রথমেই সবার মুখে আসে। তাদের মধ্যে একটা হল এই কাটাপ্পা। কাটাপ্পার ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করে নজর কেড়ে নিয়েছেন সাথিয়ারাজ। এমন একটা কাজের সুযোগ পেতেই পারতেন মোহনলাল। এই চরিত্রের জন্য প্রথমে তাঁকেই অফার করেছিলেন পরিচালক।
বল্লালদেব: এই ভূমিকার জন্য পরিচালক রাজামৌলির দ্বিতীয় পছন্দ ছিল বিবেক ওবেরয়। কিন্তু ব্যস্ত রুটিনে বিবেক বল্লালদেবকে ঠাঁই দিতে পারেননি। বল্লালদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন রানা দগ্গুবাতি।
আর বল্লালদেবের জন্য প্রথম পছন্দ কে ছিল? জন আব্রাহাম। জনকে স্ক্রিপ্টও পাঠিয়েছিলেন পরিচালক। স্ক্রিপ্ট পড়ে বল্লালদেবের চরিত্রটা ঠিক পছন্দ হয়নি জনের। তার পরই স্ক্রিপ্ট গিয়ে পৌঁছয় দগ্গুবাতির হাতে।
শিবগামী দেবী: এটাও শোনা যায়, বাহুবলী ছবিতে শিবগামী দেবীর চরিত্রে শ্রীদেবীকে ভেবে রেখেছিলেন পরিচালক রাজামৌলি। কিন্তু শ্রীদেবী অনেক টাকা চেয়েছিলেন। তাই পরিচালক শ্রীদেবীর পরিবর্তে রাম্যা কৃষ্ণনকে বেছে নেন। সে যাই জল্পনা থাকুক না কেন, ছবিটা দেখার পর রাজমাতা শিবগামীর চরিত্রে এখন রাম্যা কৃষ্ণনকে ছাড়া আর কাউকেই ভাবা যায় না।
বাহুবলী: ঠিক একই ভাবে প্রভাসের জায়গায় হৃতিক রোশনকে নেবেন ঠিক করেছিলেন পরিচালক। হিন্দিতে মূল ছবিটি বানিয়ে তারপর তা বিভিন্ন ভাষায় বানানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হৃতিক কোনও আগ্রহ দেখাননি। তামাম সিনেপ্রেমীদের বাহুবলী এখন অভিনেতা প্রভাস।