শিকারা ছবির একটি দৃশ্য।
নিজে কাশ্মীরি। তাই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের না বলা আখ্যান নিয়েই পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া আনতে চলেছেন তাঁর পরবর্তী ছবি ‘শিকারা’। সেই ছবিতেই পরিচালক তুলে ধরেছেন ৩০ বছর আগে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার স্মৃতি। সেই ছবি নিয়েই স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে এসে কিছুটা আবেগাপ্লুত পরিচালক। বললেন, “কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ভিখারি নন, নিজের পায়ে দাঁড়ানো মানুষ।”
এর আগে স্বাধীনতার পটভূমিকায় প্রেমের আখ্যান বুনেছিলেন তিনি। বানিয়েছিলেন ‘১৯৪২, আ লাভস্টোরি’। ‘পরিণীতা’, ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর মতো সুপারহিট ছবির চিত্রনাট্যও তাঁর। এ বার তাঁর কলমে কাশ্মীরি পণ্ডিত। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়ার আখ্যান, ওই টালমাটাল পরিস্থিতিতেও দু’টি মানুষের প্রেমের গল্প বুনেছেন তাঁর ছবিতে। তিনি নিজেও কাশ্মীরি।
তাই অনুষ্ঠানে এসে কিছুটা নস্টালজিক বিধু বিনোদ বলেন, “সমস্ত ঘরবাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। নিজেদের ইচ্ছাশক্তির জোরে আবার আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই ধরনের গল্প বলার জন্য সাহসের প্রয়োজন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেখে কেউ করুণা করে বলবে , আহা গো, দেখ, ওঁদের সঙ্গে কী খারাপটাই না হয়েছে— এমন ছবি বানাতে চাইনি আমরা।”
পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া
আরও পড়ুন-গুরুদ্বারে তাপসীকে যৌন হেনস্থা, পাল্টা ‘শিক্ষা’ দিলেন অভিনেত্রী
বিধুর আরও বক্তব্য, “ছবির মাধ্যমে এটাই দেখাতে চেয়েছি, সমস্ত বাধা সত্ত্বেও কী ভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। আমরা ভিখারি নই, সরকারের কাছে আমরা হাত পাতিনি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। এটা বিগ ডিল।” ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে দুই নতুন মুখ। আদিল খান এবং সাদিয়া। সঙ্গীত এ আর রহমানের। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন-‘পাকিস্তানি সেনার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও পদ্মশ্রী কেন?’ বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন আদনান সামি