অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরই মনে হয় বলিউডে অভিনয় করতে গিয়ে একটা ছাঁচে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। এক ধরনের চরিত্রই করে যেতে হয়েছে বার বার। কার্তিক আরিয়ানের ক্ষেত্রে কিন্তু এ কথা খাটে না।
এক যুগ আগে বলিউডে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রথম ছবি ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’ (২০১১) ছিল একটি রোমান্টিক-কমেডি। তার পর নানা ধরনের ছবি করেছেন অভিনেতা। ‘ফ্রেডি’র মতো মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার হোক, বা ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-এর মতো ভৌতিক কমেডি, অথবা ‘ধমাকা’-র মতো থ্রিলার ড্রামা— তাঁর কাজ বাহবা পেয়েছে সব ক্ষেত্রেই। অভিনেতা খুশি যে, নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক জানান, নানা ধরনের ছবিতে অভিনয় করলেও বিনোদনমূল্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে।
স্পষ্ট বলেন তিনি, “আমার ছবিতে একটা ব্যাপার থাকেই, সেটা হল বিনোদন। দর্শক আশা করে আমি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করব।কিন্তু যে ধারার ছবিই হোক না কেন, তাতে যেন ভরপুর বিনোদন থাকে, সে ব্যাপারটা আমি খেয়াল রাখি।”
দর্শকের মনোরঞ্জনের বিষয়টাকে অগ্রাহ্য করে তিনি যে কিছু করতে চান না, বুঝিয়ে দেন স্পষ্ট। কেরিয়ারের শুরুর দিকে যে সংগ্রাম করতে হয়েছে, তা ভোলেননি তিনি। কার্তিক বলেন, “আমার প্রথম ছবি ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’র আগে কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে আমাকে। এই ছবি করার পরেও সেই স্বীকৃতি পাইনি, যেটার জন্য আসলে অভিনয় করছিলাম আমি। সেটা এল ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ (২০১৮) করার পরে।”
‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’ থেকে ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ অবধি এই দীর্ঘ সাত বছরই ছিল কার্তিকের জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াই, সংগ্রামের সময়। এখন হাতে একগুচ্ছ কাজ অভিনেতার। প্রস্তাব আসতেই থাকে। তবে অন্য ধারার ছবি করার ইচ্ছা থাকলেও কার্তিক জানান, সব কিছুর আগে সেই সব ছবিই বাছবেন, যেগুলি নিখাদ বিনোদন দিতে পারে।