করিশ্মা কপূর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
নতুন করে নারীদের অবস্থান নিয়ে ভাবতে বসেছে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি। দেশে নারীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একের পর এক নারকীয় কাণ্ড সাধারণ থেকে খ্যাতনামী— সকলকে এক পঙ্ক্তিতে এনে দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে অতীত ফিরে দেখছেন তাঁরা। তখনই প্রকাশ্যে আসছে শিউরে ওঠার মতো নানা ঘটনা। যা জানতে জানতে প্রশ্নও উঠছে, পরিবার থেকে কর্মক্ষেত্র— মেয়েরা কি আগের তুলনায় একটু হলেও ভাল আছেন? এ প্রসঙ্গে করিশ্মা কপূর সম্প্রতি জানিয়েছেন, বলিউড নায়িকারা আগে আউটডোর শুটিংয়ের সময় ঝোপঝাড়ের আড়ালে পোশাক বদলাতেন। এখন তাঁরা ভ্যানিটি ভ্যান পান।
করিশ্মা আপাতত এক নাচের রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের পারফর্ম্যান্স দেখার পাশাপাশি স্মৃতিচারণে ডুব দেন তিনি, তাঁর সঙ্গী অন্য বিচারকেরাও। করিশ্মা গল্পের ছলে জানান তাঁর সময়ের বলিউডের কথা। বলেন, “এখন সেটের বাইরে সকলে অভিনেত্রীদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যয়বহুল ভ্যানিটি ভ্যান দেখতে পান। আমাদের সময়ে কিন্তু এ সব কিছুই ছিল না।” তা হলে তাঁরা কী ভাবে তাঁরা পোশাক বদলাতেন? সে কথা জানাতে গিয়ে চোখে জল এসে গিয়েছে তাঁর। জানিয়েছেন, মাথার উপরে খোলা আকাশ। আড়াল বলতে ঝোপঝাড়। এ ভাবেই তাঁদের পোশাক বদলাতে হত। নায়িকা আরও জানিয়েছেন, শুধুই পোশাক বদলানোই নয়, বাথরুম যাওয়ার দরকার পড়লেও তাঁদের সেখানেই যেতে হত। কখনও কখনও লজ্জায়, বিরক্তিতে তাঁরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তেন। তার পরেও পেশার কারণে এবং নেহাত অভিনয় ভালবাসেন বলে সরে আসতে পারেননি।
তবে তাঁর কথায় স্পষ্ট, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলিউড নায়িকাদের অবস্থানও বদলেছে। যেমন, ভ্যানিটি ভ্যানের আয়োজন। এ ছা়ড়া, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতে বলিউড প্রথম মনিটর ব্যবহার করে। করিশ্মা জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁরা একটা করে শট দিতেন আর দৌড়ে মনিটর দেখতে আসতে আসতেন। প্রথম বারের মতো সাউন্ড সিঙ্কের অভিজ্ঞতা হয়েছিল শ্যাম বেনেগালের ‘জুবেইদা’ ছবিতে অভিনয়ের সময়।