Bollywood Scoop

সাত বছরের সন্তানের প্রশ্নে লজ্জায় পড়েছিলেন, তৈমুরের কথায় পরিবারে কী বদল আনেন করিনা?

বছর পাঁচেক প্রেমের পর ২০১২ সালে বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। এখন দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গিরকে নিয়ে সংসার যুগলের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৯
Share:

করিনা-তৈমুর। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও কৃতি অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। মাত্র ২০ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন কপূর পরিবারের এই সন্তান। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ‘রিফিউজি’ ছবিতে অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। তার পরে ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘জব উই মেট’, ‘হিরোইন’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘কুরবান’, ‘ওমকারা’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন করিনা। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টশন’ ছবির শুটিং চলাকালীন অভিনেতা সইফ আলি খানের প্রেমের পড়েন করিনা। বছর পাঁচেক প্রেমের পর ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন সইফ ও করিনা। ২০১৬ সালে প্রথম সন্তান তৈমুরের জন্ম দেন নায়িকা। ২০২১ সালে যুগলের কোলে আসে জাহাঙ্গির ওরফে জে। এখন সাত ও দুই বছরের দুই সন্তানের মা করিনা। এই বয়সেই নিজের দুই ছেলের কাছ থেকে নাকি নিত্যনতুন শিক্ষা পান তিনি!

Advertisement

তৈমুরের জন্মের আগে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় চুটিয়ে কাজ করেছিলেন করিনা। বলিউডে সেই সময় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন নায়িকা। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে কয়েক মাসের মাথাতেই শুটিং ফ্লোরে ফিরেছিলেন করিনা। তখন সন্তানের দেখাশোনা করতেন শিশু-পরিচর্যাকারিণী বা ‘ন্যানি’। জে-র জন্মের পরেও একই রুটিনে চলেছেন করিনা। তাঁর দুই সন্তানের দেখাশোনা করেন যে ন্যানিরা, তাঁদের সঙ্গেই নাকি এক টেবিলে বসে খাবার খেতেন না করিনা ও সইফ! বাড়িতে এমন ঘটনা দেখে অবাক হয়েছিল খুদে তৈমুর। করিনা জানান, তৈমুর ও জে দু’জনেই নাকি ন্যানিদের এ ভাবে আলাদা টেবিলে বসে খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। দুই সন্তানের এমন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে নাকি হকচকিয়ে গিয়েছিলেন নায়িকা। তার পর থেকেই পরিবারের রীতিতে বদল আনেন তিনি। এখন তাঁদের সবার সঙ্গে বসেই নাকি খাবার খান তাঁর দুই সন্তানের ন্যানিরা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন করিনা। তৈমুর ও জে-কে নিয়ে সইফের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই এ দিক-ও দিক ঘুরতেও চলে যান তিনি। তখনও দুই সন্তানের ন্যানিরা তাঁদের ভ্রমণসঙ্গী হন। করিনার কথায়, ‘‘যাঁরা আমার সন্তানদের নিজের সন্তানের মতো ভালবাসেন, তাদের খেয়াল রাখেন, তাদের যত্ন নেন, তাঁদের অসম্মান করার কথা আমি ভাবতেও পারি না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement