এ রকম সমালোচনাও শুনতে হয়েছে 'সইফিনা'-কে, যে বর্বর অত্যাচারী বিজেতার নামে ছেলেদের নাম রেখেছেন তাঁরা।
পুত্রসন্তানদের নামকরণ নিয়ে বিতর্ক করিনা কপূর খানের কাছে নতুন কিছু নয়। বড় ছেলে তৈমুরের জন্মের পর থেকেই ‘ট্রোলার’-দের লক্ষ্যের তালিকায় উপরের দিকেই থাকেন ‘সইফিনা’। বরাবর নেটাগরিকদের কটূক্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে নবাব দম্পতিকে। এ রকম সমালোচনাও শুনতে হয়েছে, যে বর্বর অত্যাচারী বিজেতার নামে ছেলেদের নাম রেখেছেন তাঁদের মা-বাবা।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে করিনা এই বিষয়ে আরও একবার মুখ খুললেন, “এইগুলো শুধুমাত্র আমাদের পছন্দের দুটো নাম ছাড়া আর কিছুই নয়। কী করে কেউ ছোট শিশুদের ট্রোল করতে পারে, তা একেবারেই আমার ধারণার বাইরে। আমার অত্যন্ত খারাপ লাগে এই সব দেখে, কিন্তু এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।” করিনার মতে, ট্রোলারদের মাপকাঠিতে নিজের জীবনের মূল্যায়ন করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
তৈমুরের নাম জনসমক্ষে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। নেটাগরিকদের এটা বড় অংশের বক্তব্য ছিল যে, করিনা আর সইফ মধ্যযুগের অত্যাচারী মোঙ্গল বিজেতা তৈমুরের নামে তাঁদের ছেলের নামকরণ করেছেন। ১৩৯৮ সালে দিল্লি শহরকে তছনছ করে গিয়েছিলেন তৈমুর। আপাতদৃষ্টিতে, সেই তৈমুরের নামের অনুসরণে ছেলের নাম দেওয়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েন সদ্যোজাত এবং তাঁর মা-বাবা।
তৈমুরের জন্মের চার বছর বাদে দ্বিতীয় পুত্রকে বাড়ি নিয়ে আসেন সইফ-করিনা। কিন্তু এই বার ছেলের নাম বহুদিন জনসমক্ষে আসতে দেননি তাঁরা। নেটমাধ্যমে নবাব দম্পতির দ্বিতীয় পুত্রের নাম নিয়ে নানান জল্পনা হলেও মুখ খোলেননি পরিবারের কেউই। বেশ কয়েক মাস পরে করিনার বই ‘প্রেগনেন্সি বাইবেল’-এ ছোট ছেলের নাম ‘জাহাঙ্গীর’ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু এই বারও বিতর্ক বেশি দূরে থাকেনি ‘সইফিনা’-র। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামের অনুসরণে নাম দেওয়া নিয়ে নেটদুনিয়ার একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েন সইফ আর করিনা। কিন্তু বরাবরই করিনা এবং সইফ তাঁদের সন্তানদের নামকরণ নিয়ে বিতর্ককে বিশেষ আমল দেন নি।
করিনা ছাড়াও সাবা আলি খান এই বিষয়ে নবাব দম্পতির পাশেই দাঁড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর ইনস্টাগ্রামে করিনা আর জাহাঙ্গীরের মলদ্বীপে ছুটি কাটানোর একটি ছবি পোস্ট করেছেন সাবা। সেই ছবির সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘একজন মা নিজের মধ্যে তাঁর সন্তানকে ধারণ করেন, তাকে জন্ম দেন। সেই সন্তান কী ভাবে কোন পরিস্থিতিতে বড় হবে, তার নাম কী হবে-- এই সব বিষয়ে তার মা-বাবা ছাড়া আর কারও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।’ পরিবারের বাকি সদস্যরা পরামর্শ দিতে পারেন বড় জোর। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত বাবা-মায়েরই।