(বাঁ দিকে) করিনা কপূর (ডান দিকে) সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
২০১২ সালে করিনা কপূরের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সইফ আলি খান। প্রথমে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিংহকে। সইফের তুলনায় অমৃতা ছিলেন বেশ অনেকটাই বড়। তার পর করিনাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। এ বার অবশ্য হয়েছে উল্টোটা। সইফের থেকে করিনা ১০ বছরের ছোট। বিয়ের সময় থেকেই বয়সের ফারাক এবং ভিন্ন ধর্মে গাঁটছড়া বাঁধা নিয়ে নানা কটাক্ষ শুনতে হয় দু’জনকে। বিয়ের প্রায় ১২ বছর পর এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন করিনা।
সইফের জন্ম ১৯৭০ সালের অগস্টে, করিনার ৮০ সালের সেপ্টেম্বরে। অভিনেত্রীর মতে, বয়সের এতখানি তফাতই নাকি সম্পর্কের জাদু ধরে রাখে। শুধু তা-ই নয়, করিনার মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সইফ যেন আরও বেশি সুন্দর হচ্ছেন। জানিয়েছেন, বয়সের এই তারতম্যের জন্য তিনি খুশি। বরং ভয় পাওয়ার কথা নাকি সইফের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, ‘‘আমার কাছে বয়সটা একেবারেই ভাবনার বিষয় নয়। সইফ আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। কে বলবে ওর বয়স ৫৩। ওর থেকে ১০ বছরের ছোট বলে আমি খুশি। আসলে সইফেরই খানিক চিন্তায় থাকা উচিত, আমার নয়। বয়স নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাটাই আসল।’’
শুধু বয়স নয়, লোকের আলোচনার বিষয় ছিল দু’জনের ভিন্ন ধর্ম নিয়েও। পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে করিনা বিয়ে করেন মুসলিম সইফকে। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ধর্ম নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা হয় আমাদের মধ্যে। তবে এ ভাবেই তো এতগুলো বছর পেরিয়ে গেল। আমাদের সম্পর্কে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমরা একে অপরের সঙ্গ ভালবাসি। আসলে আমাদের সম্পর্কে ধর্ম কিংবা বয়সের মতো বিষয়গুলো কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়।’’
বিয়ের আগে সইফকে একটা শর্ত দিয়েছিলেন করিনা। বলেছিলেন, তাঁর কেরিয়ারে কোনও দিন যেন কোনও রকম বাধা না দেন সইফ। বিয়ের পরেও তাঁকে যেন অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়। কথা রেখেছেন সইফ। বিয়ে, সন্তান, সংসার— কোনও কিছুই করিনার কেরিয়ারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি।