অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন করিনা ছিলেন স্বাদে-আহ্লাদে। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের পয়লা নম্বর অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন বিয়ে করেন সইফ আলি খানকে। তার বছর চারেক বাদে অন্তঃসত্ত্বা হন তিনি। অভিনেত্রীর প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খান। তবে করিনা এখন নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের জন্য যে অনুপ্রেরণা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আগে বলিউডে চল ছিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই কাজ কমিয়ে দেওয়ার। তবে সেই প্রথা ভেঙেছেন করিনা। তৈমুর গর্ভে থাকাকালীন চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এখন বলিপাড়ার নায়িকাদের পথ প্রদর্শক তিনি। তবে তৈমুরের জন্মের সময় প্রায় ২০ কিলো ওজন বৃদ্ধি পায় তাঁর। সেই নিয়ে কমবেশি কটাক্ষের মুখেও পড়েন অভিনেত্রী। তবে সে সবে কান দিতে নারাজ ছিলেন তিনি।
তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঘন ঘন খিদে পেত করিনার। তিনি জানান, প্রথম ছ’মাস তিনি চিকিৎসকের কথা মতো খাবার খেয়েছিলেন। কিন্তু শেষে তিন মাস কোনও কথা শোনেননি তিনি। সেই সময় প্রচুর পরোটা খেতেন। সারা ক্ষণ নাকি পরোটা খেতেই ইচ্ছে করত অভিনেত্রীর। যদিও এর জন্য চিকিৎসকের ধমক খেতে হয়েছে করিনাকে। কিন্তু পরোয়া করেননি। দিনে ৫ থেকে ১০টা পরোটা খেতেন তিনি।
করিনার কথায়, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আমি শুধু পরোটা খেয়েছি! আমি দিনে ৫-১০ টা পরোটা খেতাম, এখন একটা খাই।’’ জন্মের পর থেকে সারা ক্ষণ প্রচারের আলোয় রয়েছে করিনা ছেলে তৈমুর। এই অল্প বয়সে রীতিমতো তারকা ছোট্ট তৈমুর। ২০২০ সালে করিনা দ্বিতীয়বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হন। করিনা-সইফের দ্বিতীয় সন্তান জেহ। দেখতে দেখতে দু’বছর পার করল জেহ।