করিনা এবং তৈমুর। — ফাইল চিত্র।
সমাজমাধ্যম এবং ছবিশিকারিদের দৌরাত্ম্যে জন্মের পর থেকেই তারকা-সন্তানেরা চর্চায়। শৈশবেই তাদের প্রতিটি মুহূর্ত নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়। বড় হওয়ার আগেই আজান্তে তারা হয়ে ওঠে তারকাসমান। সইফ আলি খান এবং করিনা কপূর খানের পুত্র তৈমুরের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। জন্মের পর থেকেই পুত্রকে নিয়ে চর্চা করিনার মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে করিনা তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন। ছেলের নামকরণ নিয়েও এক সময়ে চর্চা শুরু হয়। করিনা বলেন, ‘‘সইফ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে খুবই নিশ্চিন্তে ছিলেন।’’ কথা প্রসঙ্গেই তাঁর ঠাকুরদা রাজ কপূরের একটি পরামর্শ স্মরণ করিয়ে দিলেন করিনা। তিনি বলেন, ‘‘তিনি বলেছিলেন, ‘ভাল হোক বা মন্দ, মানুষ তোমাকে নিয়ে কথা বলবেই। সুপারস্টার হতে গেলে মনকে পাথরের মতো শক্ত করতে হবে’।’’
করিনা জানান, তৈমুরকে নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার পর বিষয়টা তাঁকেও বিচলিত করে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ও তো জানতেও পারেনি হঠাৎ করে ওকে ঘিরে এত নাটক কেন!’’ তবে একই সঙ্গে অভিনেত্রী এ-ও স্বীকার করে নেন যে, অনুরাগীদের থেকে তৈমুর প্রচুর ভালবাসাও পেয়েছে। করিনা জানান, সময়ের সঙ্গে তাকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাসকে বুঝতে শিখেছে তৈমুর।
করিনা জানান, ছেলেকে শুধুই তারকা-সন্তান হিসাবে বড় করে তুলতে চান না তিনি। বাবা-মায়ের মতো তৈমুরকেও জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সে কথাও প্রতি পদে ছেলেকে বুঝিয়ে দেন অভিনেত্রী। এই বিষয়গুলো নিয়ে সইফের সঙ্গেও তাঁর কথা হয বলে জানান করিনা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘সমাজমাধ্যমে আমিও ব্যক্তিগত জীবনের প্রচুর ছবি পোস্ট করি। কিন্তু আবার এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রকাশ্যে আনি না। এই সমতা বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।’’
২০১৬ সালে করিনার প্রথম সন্তান তৈমুরের জন্ম। ছেলের নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। পরে বিষয়টি নিয়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সইফ-করিনা। এমনকি এক সময়ে তাঁরা ছেলের নাম পরিবর্তনের কথাও নাকি ভেবেছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে যাবতীয় বিতর্ক মিটে যায়।