শাহিদের সম্পর্কে থাকাকালীনই সইফকে মনে ধরে করিনার। ছবি: সংগৃহীত।
চর্চায় সইফ আলি খান। উঠে আসছে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী করিনা কপূর খানের রসায়নের কথাও। অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সম্পর্কে কাছাকাছি আসতে যে কোনও পদক্ষেপ তাঁকেই আগে করতে হয়েছিল। তার কারণ, সইফের চালচলন নাকি বরাবরই ব্রিটিশদের মতো।
২০০৮ সালে ‘টশন’ ছবির সেটে প্রেমের সূচনা সইফ-করিনার। সেই সময়ে করিনা সম্পর্কে ছিলেন বলিউডের আর এক অভিনেতা শাহিদ কপূরের সঙ্গে। কিন্তু ‘টশন’ ছবির সেট থেকে সইফের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হতে থাকে। যার ফলে অবশেষে শাহিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। করিনা তখন সইফের সঙ্গে সম্পর্কে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সইফের দিক থেকে তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না। তাই সবটাই করে নিতে হয়েছিল করিনাকে। এমনকি করিনা নিজের মনের কথা প্রকাশ করায় নাকি বেশ অবাক হন সইফ।
করিনা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমিই সঠিক পথে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। সইফ কখনওই কোনও মহিলার সঙ্গে আগে এসে এই ধরনের কথা বলবে না। প্রথম পদক্ষেপ ও কখনওই করবে না। ওর আচরণ ব্রিটিশদের মতো। ও বরাবরই সংযত।”
তাই বাধ্য হয়ে করিনাকেই প্রথম মনের কথা জানাতে হয়। অভিনেত্রীর কথায়, “আমিই প্রথম এগোই। সেই দেখে সইফ অবাক হয়ে গিয়ে বলেছিল, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না, করিনা কপূর এটা করছে’। ওর প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, ওর মাথায় যেন একটা আস্ত বহুতল ভেঙে পড়েছে। জানি না, ও তখন কী ভাবছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টা সফল হয়। আর আমি মনে করি, আমার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।”
২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর বিয়ে করেছিলেন সইফ-করিনা। বর্তমানে তাঁরা দুই সন্তান তৈমুর ও জেহ্-র বাবা-মা।