করিনা কপূর খান। ছবি: সংগৃহীত।
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ করিনা কপূরের বিরুদ্ধে। সমস্যার সূত্রপাত অভিনেত্রীর লেখা বই ‘করিনা কপূর খান’স প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ থেকে। আইনজীবী ক্রিস্টোফার অ্যান্টনি করিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। অবশেষে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
গত মে মাসে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে ক্রিস্টোফার অ্যান্টনি করিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন অভিনেত্রী। করিনার লেখা বই ‘করিনা কপূর খান’স প্রেগন্যান্সি বাইবেল’-এর উপরেও নিষেধাজ্ঞা দাবি করেন তিনি। এই বইয়ের নাম খ্রিস্ট ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করছে বলে অভিযোগ।
করিনা তাঁর আইনজীবী দিব্যা কৃষ্ণা বিল্লাইয়া ও নিখিল ভট্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর। ‘করিনা কপূর খান’স প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ প্রকাশের পরে করিনা জানিয়েছিলেন, এই বই তাঁর কাছে তৃতীয় সন্তানের মতো।
উল্লেখ্য, আইনজীবী তথা সমাজকর্মী ক্রিস্টোফার অ্যান্টনি দাবি করেছিলেন, করিনার বইয়ে ‘বাইবেল’ শব্দটির ব্যবহার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, “খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য বাইবেল সবচেয়ে পবিত্র বই। করিনার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার সঙ্গে এর তুলনা টানা মোটেই ঠিক হয়নি।”
করিনা নিজের বই সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, সন্তানধারণের অভিজ্ঞতা এবং তা নিয়ে এই বই লেখার সফর তাঁর কাছে এক বিশেষ সফর হয়ে থাকবে। তাঁর কথায়, “এই সময়টা ভাল-খারাপ মিলিয়ে কাটে। কোনও দিন আমি কাজে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠতাম। কোনও দিন আবার বিছানা থেকে উঠতেও আমার কষ্ট হত। এই সময়ে শারীরিক ভাবে ও মানসিক ভাবে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা নিয়েই লেখা এই বই।”