‘মাই নেম ইজ় খান’- এর সাফল্যের পরেও ছবি-করিয়ে হিসাবে তিনি তেমন গুরুত্ব পান না বলেই মনে করেন কর্ণ। ফাইল চিত্র।
‘মাই নেম ইজ় খান’ই কর্ণ জোহরের পরিচালনায় সেরা ছবি, এমনটা বলেন অনেকেই। কর্ণও নিজের এই কাজ নিয়ে গর্বিত। তবে সবটুকু কৃতিত্ব দিতে চান চিত্রনাট্যকার শিবানি ভাতিজা এবং নায়ক শাহরুখ খানকে। কর্ণের কথায়, “শিবানি যা লিখেছে তাতেই আমি মুগ্ধ। এই প্রথম কোনও কাজ, যাতে আমি লেখকের চিন্তাভাবনা অন্ধের মতো অনুসরণ করি। তা ছাড়া, অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম নিয়ে শাহরুখ যে গবেষণা করেছিল, চরিত্রের বাক্ভঙ্গি ও দেহভঙ্গিমা রপ্ত করতে যতটা সময় দিয়েছিল, তাতেই বোঝা যায় ছবি এবং চরিত্রের প্রতি ও কতটা নিবেদিত ছিল।”
‘পাঠান’ উন্মাদনার মধ্যেই শাহরুখ অভিনীত আর সেই ছবির জনপ্রিয়তা তেরো বছরে পড়ল। ছবির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্মৃতি ফিরে দেখতে গিয়ে নিজেকেও নতুন করে আবিষ্কার করলেন কর্ণ। সিদ্ধার্থ মলহোত্র আর কিয়ারা আডবাণীর বৌভাতে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করলেন এক উপলব্ধি।
‘মাই নেম ইজ় খান’- এর সাফল্যের পরেও ছবি-করিয়ে হিসাবে তিনি তেমন গুরুত্ব পান না বলেই মনে করেন। বললেন, “হয়তো আমি এমন অনেক কিছু করি, যা ‘পেশাদার পরিচালক’-এর তকমার সঙ্গে খাপ খায় না। কিন্তু যদি নতুন করে শুরু করার সুযোগ দেওয়া হয়, আমি ভেবে দেখেছি সব কিছু আবার একই রকম ভাবে করব।” কর্ণ জানান, ‘ঝলক দিখলা যা’ আর ‘মাই নেম ইজ খান’- এর প্রতি তাঁর একই রকম পক্ষপাত রয়েছে।‘কভি অলভিদা না কহে না’ এবং ‘মাই নেম ইস খান’- এর মতো দুটো সিরিয়াস ছবি বানানোর পর কর্ণ খুব সচেতন ভাবেই ‘ স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এর মতো হালকা চালের মিষ্টি ছবি বানিয়েছিলেন বলে জানান।
ছবিতে তাঁর প্রিয় দৃশ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কর্ণ জানান রিজওয়ান যেখানে মন্দিরার কাছে তার ভালবাসা প্রকাশ করে, সেই মুহূর্তটির কথা। কর্ণ বলেন, “ওদের ভালবাসার মধ্যে একটা সারল্য ছিল, যা আমাদের সম্পর্কে থাকে না। চরিত্র দু’টির ভালবাসা সৎ এবং সত্যি।”
ছবির সিক্যুয়েল হবে কি না, এই প্রশ্নে কর্ণ বলেন, “একবার ছবি বানিয়ে ফেললে আমি তা থেকে বেরিয়ে আসি। কাজেই সিক্যুয়েলের প্রশ্ন নেই। আমার ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এর সিক্যুয়েল হবে জানি, কিন্তু আমি তো তার পরিচালক নই।”